আদালত প্রতিবেদক: [২] সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মতো উপাদান না পাওয়ায় পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির দায়ের করা মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
[৩] এ বিষয়ে আসামি গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল ‘আমাদের নতুন সময়’কে বলেন- শুধু মাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের কারণে শ্বশুর বাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট এই মামলায় তিনি ফেঁসে যান। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে গুলশান আরার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
[৪] মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৯ মে, ২০২২ আসামি গুলশান আরা এডিটের মাধ্যমে বাদীর মেয়ের নগ্ন ছবি তৈরি করে মেয়ের বান্ধবীর ম্যাসেঞ্জারে একটি আইডি থেকে ওই ছবি পাঠান। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে গুলশান আরা হুমকি দিয়ে বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, ফেসবুক আইডিটি তার ছেলের স্ত্রী গুলশান আরার। এ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ বাড্ডা থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন তিনি।
[৬] তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রাসেল পারভেজ ৩০ মে, ২০২৩ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
প্রতিনিধি/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :