শিরোনাম
◈ খান ইউনুসে চলছে প্রচণ্ড লড়াই : আটকা পড়েছে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ দেশের ৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:২৮ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে

আনিস তপন : [২] কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলাকে শিল্প ও বাণিজ্যিক অঞ্চলে রূপান্তর এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য কাজ সম্পাদন করতে ‘মহেশখালি সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪’ খসড়া প্রস্তাব তৈরী করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

[৩]  আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই খসড়া প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হতে পারে। 

[৪] খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী আইন কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই কর্তৃপক্ষের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন, অধিকারে রাখা ও হস্তান্তরের ক্ষমতা থাকবে। কর্তৃপক্ষ মামলা করতে পারবে এবং এর বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে। এর প্রধান কার্যালয় মহেশখালীতে হবে। তবে প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করতে পারবে।

[৫] প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে একটি একটি গভর্নিং বডি থাকবে। এই বডি কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দশনা, পরামর্শ ও উপদেশ দিবে। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ ও নির্বাহী পরিষদের কার্যাবলীর অনুমোদন করবে। নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান গভর্নিং বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব হবেন এই নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান। এই পরিষদের  নির্বাহী সদস্যদের সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগ দেবেন। 

[৬] কর্তৃপক্ষ ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করে সমান্বত অবকাঠামো উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। বিনিয়োগ উন্নয়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কৌশল উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন করবে। মহাপরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নকশা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন, রাস্তা, অবকাঠামো নির্মাণ করবে। এক্ষেত্রে যদি অপ্রয়োজনীয় কোন অবকাঠামো বাধার কারণ হয় সেক্ষেত্রে অবকাঠামো অপসারণ করবে। 

[৭] কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকাতে ভূমি, স্থান ও ভবন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারিকে বরাদ্দ দেবে। দ্রুত শিল্পায়নের উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেষি পুঁজি বিনিয়োগে প্রয়োজনীয় সুবিধা ব্যবস্থা নেবে। 

[৮] উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীকে প্রয়োজনীয় যে কোন সেবা, সুবিধা, প্রণোদনা, লাইসেন্স, পারমিট, ছাড়পত্রসহ অনুষাঙ্গিক সহায়তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেয়ার লক্ষ্যে ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রবর্তন এবং এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ অধিক্ষেত্র এলাকার শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি বরাদ্দ, ডেভেলপার নিয়োগ, চুক্তি ও বরাদ্দ চুক্তি করতে পারবে। 

[৯] জাতীয় রাজস্ব বোর্ডর অনুমতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র এলাকার শিল্প-কারখানার বিশেষ শুল্ক সুবিধা দিতে পারবে। কিছু ক্ষেত্রে বণ্ডেড সুবিধাও দিতে পারবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়