সালেহ্ বিপ্লব: [২] শুক্রবার বেলা আড়াইটায় ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর ছেড়ে যায় বিমানের ঢাকা-দাম্মাম ফ্লাইট বিজি-৩৪৯। ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু এবং ককপিট ক্রুর সবাই নারী। পাইলটের আসনে বিমানের সিনিয়র নারী ক্যাপ্টেন আলিয়া মাননান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম।
[৩] জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সম্মান দেখাতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্রথমবারের মতো শুধু নারী ক্রুদের দিয়ে আন্তর্জাতিক এই ফ্লাইটটি পরিচালনা করা হয়েছে।
[৪] বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমানভাবে কাজ করে চলছে বিমানের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের (অতিরিক্ত সচিব) নির্দেশনায় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হলো।
[৫] বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রশাসন, গ্রাউন্ড স্টাফ, প্রকৌশলী, ইন্সটাক্টর পদসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল শাখায় নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দায়িত্বপালন করছেন। বিমানের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ), মহাব্যবস্থাপক (গ্রাহক সেবা) ও প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন নারী।
[৬] বিমানের আছে ১৫ জন অভিজ্ঞ নারী পাইলট, যা পুরুষের তুলনায় আন্তর্জাতিক গড় সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। বিশ্বে পুরুষের তুলনায় নারী পাইলটের গড় হার ৬ শতাংশ। বাংলাদেশে এটি ১০.৪ শতাংশ বা প্রায় দ্বিগুণ।
[৭] বিমানে ৩৪৫ জন প্রশিক্ষিত ও দক্ষ নারী কেবিন ক্রু আছেন। গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইন্সট্রাক্টরসহ সকল শাখায়ও কাজ করছেন নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।