জেরিন আহমেদ: [২] আল কায়েদা অনুসারী পাকিস্তান ভিত্তিক সংগঠন তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতালিতে ফয়সাল রহমান নামের ২১ বছর বয়সী বাংলাদেশি তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবার ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেনোয়া শহর থেকে ওই তরুণকে আটক করা হয়। এছাড়া তার সঙ্গে জড়িত আরো দুই বাংলাদেশিকে খুঁজছে ইতালির পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের বাসায় তল্লাশিও চালানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
[৪] মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভাইস কনসাল তাইজুল ইসলাম বলেন, আমরা কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে কূটনৈতিক আইন অনুযায়ী কনস্যুলেট অফিস থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৫] অ্যান্টি মাফিয়া অ্যান্ড অ্যান্টি টেরোরিজম ডিরেকটরেটের কর্মকর্তাদের বরাতে এজেন্জিয়া ইতালিয়ার খবরে বলা হয়, ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিটের আবেদন করা ফয়সাল জেনোয়ার সেস্ত্রি পনেন্তে এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন প্রায় দুই বছর ধরে। সেখানে একটি জাহাজনির্মাণ কোম্পানির কারখানায় কাজ করতেন। জঙ্গি সন্দেহে ফয়সালের ওপর পুলিশের নজরদারি শুরু হয় সেই ২০২১ সালে, যখন তিনি নিজেকে ‘আল্লাহর সৈনিক’ ঘোষণা করে ‘আল-কায়দা লাভার’ লিখে ফেইসবুকে পোস্ট দেন। তদন্তে ফয়সালের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়।
[৬] স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো লিখেছে, ‘গ্রুপ অব টোয়েন্টি’ নামের একটি উগ্রবাদী ফেইসবুক গ্রুপে যুক্ত ছিলেন ফয়সাল। ইতালির রেসিডেন্স পারমিট হাতে পেলে প্রশিক্ষণ নিতে পাকিস্তানে গিয়ে তালেবান গ্রুপের সঙ্গে মিলিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একে-৪৭ রাইফেলের মত আগ্নেয়াস্ত্র চালনা এবং লড়াইয়ের কৌশল শেখার জন্য ফয়সাল নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে অনলাইনে প্রশিক্ষণও নিচ্ছিলেন। তবে তার সঙ্গে জড়িত অন্য দুই বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
জেএ/টিএবি/এনএইচ