সালেহ্ বিপ্লব: টরন্টোর স্থানীয় সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর জন্য প্রার্থনা করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি শাহরিয়ার মাহির খান এবং আরিয়ান আলম দীপ্তর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর জন্য প্রার্থনা এবং ভিউয়িংয়ের (শেষ দর্শন) আয়োজন করা হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা। ইটোবিকোর ১২১ সিটি ভিউ ড্রাইভে অবস্থিত লোটাস ফিউনারেল এন্ড ক্রিমেশন সেন্টারে এ আয়োজনে টরন্টো প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেবেন।
শাহরিয়ার মাহির খান এবং আরিয়ান আলম দীপ্তর নামাজে জানাজা ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাদ জোহর স্কারবোরোর ১ স্টামফোর্ড স্কয়ার নর্থে অবস্থিত মসজিদ আল-আবেদীনে অনুষ্ঠিত হবে।
নিহতদের লাশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর জানান, অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থাপনা করছে লোটাস ফিউনারেল এবং ক্রিমেশন সেন্টার নামে একটি ফিউনারেল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান।
তিনি জানান, লোটাস ফিউনারেল এর অপারেশনার ফিউনারেল ডিরেক্টর হারমিন্দর হানসি তাকে বলেছেন, আগামী সপ্তাহে তারা অ্যাঞ্জেলার শবদেহ বিমানে তুলে দিতে পারবেন বলে আশা করছেন। সোমবার কানাডায় সরকারি ছুটি এবং কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকায় এই মুহুর্তে সুনির্দিষ্টভাবে ফ্লাইটের তারিখ তারা বলতে পারছেন না। তবে একটা বুকিং দেয়া আছে বলে উল্লেখ করলেও সেটি প্রকাশ করতে তিনি সম্মত হননি।
অ্যাঞ্জেলার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ফেব্রয়ারি বা ২৫ ফেব্রুয়ারি টার্কিশ এয়ারওয়েজে অ্যাঞ্জেলার শবদেহ বাংলাদেশের নিয়ে যাবার প্রস্তুতি চলছে। তার আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি অ্যাঞ্জেলার বাবা ঢাকায় ফিরে যাবার চেষ্টা করছেন।
শাহরিয়ার খান এবং আরিয়ান দীপ্তর শবদেহ অন্টারিওর করোনার অফিস থেকে ইকো ক্রিমেশন অ্যান্ড বারিয়াল সার্ভিসেস ইনক এর কাছে দেয়া হয়েছে। এই দুই জনের শবদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থাপনা করবে এই প্রতিষ্ঠান।
ইকো ক্রিমেশন অ্যান্ড বারিয়াল সার্ভিসেস এর ফিউনারেল ডিরেক্টর নাথান রমাগনলি জানিয়েছেন, তারা শবদেহ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে পরিবারের অনুমোদন না থাকায় তাদের শবদেহ কখন কীভাবে দেশে পাঠানো হবে এই ব্যাপারে তিনি কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না।