আরটিভি অনলাইন: গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বাংলাদেশী তিন শিক্ষার্থী আরিয়ান আলম দীপ্ত, শাহরিয়ার খান মাহির ও আঞ্জেলা বারৈ শ্রেয়া। গুরুতর আহত হন শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
আরিয়ান আলম দীপ্তের মৃত্যু কি নিছক সড়ক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা! এই প্রশ্ন তুলেছে তার পরিবার। বিষয়টি সুরাহা করতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার বাবা-মা।
জানা গেছে, নিবিড় কুমারের সঙ্গে এক ফ্ল্যাটেই থাকনে দীপ্ত। সম্প্রতি ফ্ল্যাট থেকে নিবিড়ের বন্ধু লাবীবের ১ হাজার ৮০০ ডলার দামের জ্যাকেট উধাও হয়ে গেলে দোষ দেওয়া হয় দীপ্তকে। শুধু তাই নয়, জ্যাকেটের জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি তাকে মারধরও করা হয়। বের করে দেওয়া হয় ফ্ল্যাট থেকে। আবার সেই বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েই প্রাণ হারায় দীপ্ত। নেপথ্যে নিবিড় কুমারের বন্ধু লাবীবের নামও উঠে আসে। এসব কারণেই এটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড, এর তদন্ত চায় দীপ্তের পরিবার।
দীপ্তের বাবা-মা বলেন, নিবিড় কুমার সাসপেন্ডেড লাইসেন্স দিয়ে কীভাবে ৫০ কিলোমিটার গতির রাস্তায় ১৪০ কিলোর গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
দীপ্তের এক বন্ধুর চ্যাট হিস্টরিতে দেখা যায়, গায়ক কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমারের সঙ্গে বের না হওয়ার অজুহাত হিসেবে আরিয়ান জানায়, তার কাছে টাকা নেই। কিন্তু অপর বন্ধু জানায়, এটা ওরা মানবে না। আরিয়ানের পরিবারের অভিযোগ জোর করেই দীপ্তকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে ওরা।
দীপ্তের বাবা এম আলমগীর বলেন, আমার ছেলেকে জোর করে নিয়ে গেছে তারা। লাবীব এ ঘটনার সব জানে। লাবীব ওই গাড়িতে যায়নি, অথচ সে নিবিড় কুমারের বন্ধু। আমরা চাই লাবীবকে আইনের আওতায় আনা হোক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এএ/এসএ