মুসবা তিন্নি : বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য অনুসারে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মানুষই মারা যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। অত্যাধিক মানসকি চাপ, র্কমব্যস্ত জীবন ও অনয়িমতি জীবনযাপনের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিভিন্ন গবষেণায় দাবি করা হয়েছে পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।সির্ন্টোস অব ডিজিজসে কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রভিনেশন এর তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজন মারা যান হার্ট অ্যাটাকে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে নারীদের ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বুকে ব্যথার মতো উপর্সগ দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে মূলত ক্লান্তি শ্বাসকষ্ট, কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। সূত্র: সিডিসি
নারীদের মধ্যে হৃদরোগের লক্ষণ কারণ?
>ঋতুবন্ধ বা মনোপসের পর নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এ কারণে তখন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
>গর্ভাবস্থায় নারীরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। এ সময় রক্তচাপ বাড়লে রক্তনালীগুলো দিয়ে রক্ত ও অক্সিজেন র্পযাপ্ত মাত্রায় মস্তিস্কে পৌঁছাতে পারে না। সক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
>নারীদের মধ্যে যারা ধূমপানে আসক্ত, তাদেরও হৃদরোগরে ঝুঁকি বেশি বিশেষজ্ঞদের মতে ধূমপান বন্ধ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায় ৮০ ভাগ। আবার মদ্যপানও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
>ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টরেলের সমস্যা হৃদরোগের জন্য দায়ী। এসব রোগের কারণে রক্তনালী সর্ঙ্কীণ হয়ে পড়ে ফলে রক্ত প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে ও হৃদযন্ত্রে বেশি চাপ পড়ে কার্ডিওভাস্কুলার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায়।
>মানসকি চাপ ও র্পযাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি বাড়ায়। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয়
নিয়মিত শরীরচর্চা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, এজন্য সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিটের মাঝারি ব্যায়ামই যথেষ্ট । এক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে হাঁটা বেশ কার্যকরী এর পাশাপাশি লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
বিভিন্ন স্থানে হেঁটে চলাচল করুন। টেলিভিশন দেখা বা ফোনে কথা বলার সময় হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস গড়ুন। এসবের পাশাপাশি মডিটেশন করুন নিয়মিত। স্বাস্থ্যকর খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ। সঠিকভাবে জীবন পরিচালনা করুন।
আপনার মতামত লিখুন :