শিরোনাম
◈ ট‌রে‌ন্টো‌তে হোঁচট খে‌লো মেসির ইন্টার মায়া‌মি ◈ ব্রিটিশ মেয়রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি আত্মীয়-স্বজনের জন্য ‘ভিসা জালিয়াতির’ অভিযোগ ◈ বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ গ্রহণে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করল আইএমএফ ◈ বেনজীরের অর্থপাচার মামলায় মার্কিন নাগরিক এনায়েত ৪ দিনের রিমান্ডে ◈ প্রকাশ্যে নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, বললেন দেশ ছেড়ে পালাব না ◈ ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট ছাপানো নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন উপাচার্য ◈ জনসভায় মৃত্যুর রোল, অবশেষে মুখ খুললেন থালাপতি বিজয় ◈ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি: সিইসি ◈ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা, করা হলো সতর্ক ◈ ড. ইউনুসের কথা শুনে মনে হয়েছিলো, আমি জিয়াউর রহমানের কথা শুনাছিলাম: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বদনজর: কোরআন-হাদিসে প্রমাণ ও প্রতিকার

বদনজর সত্য। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বদনজর থেকে বেঁচে থাকার কথা বলেছেন এবং এর আমলও শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা বদনজরের প্রভাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। কেননা নজরের প্রভাব সত্য।’ (ইবনে মাজাহ ৩৫০৮)

পবিত্র কোরআনেও কয়েক জায়গায় বদনজরের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, 

কাফেররা যখন উপদেশবাণী শোনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টির মাধ্যমে তোমাকে আছড়ে ফেলবে, আর তারা বলে, এ তো এক পাগল। (সুরা কলম ৫১)
 
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে বলেছেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, কোরআনের এ আয়াতে ‘তাদের দৃষ্টির মাধ্যমে তোমাকে আছড়ে ফেলবে’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘তোমার প্রতি বদনজর দেবে।’  তারা তোমাকে হিংসার প্রতিফলন ঘটিয়ে রোগী বানিয়ে দেবে, যদি আল্লাহর তোমার প্রতি হেফাজত না থাকে। আয়াতটি প্রমাণ বহন করে, বদনজরের কুপ্রভাবে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে এটা সত্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির ৪/৪১০)

বদনজর থেকে বাঁচতে নবীজি দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) একবার কোনো এক রোগে আক্রান্ত হলেন। তখন জিবরাইল (আ.) নবীজি (স.)-এর কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ, আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। জিবরাইল (আ.) তখন এ দোয়াটি পড়লেন,
 
بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ (উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরকিকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইউজিকা মিন শাররি কুললি নাফসিন আউ আইনিন হাসিদিন, আল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরকিকা)
 
অর্থ: আল্লাহর নামে আপনাকে ফুঁ দিচ্ছি; যেসব জিনিস আপনাকে কষ্ট দেয়, সেসব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদনজর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ফুঁ দিচ্ছি।’ (মুসলিম ৫৫১২)। সুতরাং দোয়াটি পড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার ফুঁ দিলে ইনশাল্লাহ, ধীরে ধীরে বদনজর কেটে যাবে। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ দোয়াটি খুবই উপকারি।
 
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ (উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।)

অর্থ: আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।
 
এই দোয়াটির ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে, সকাল হওয়া পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)
 
এ ছোট দোয়াটি বদনজর থেকে হেফাজতে পড়তে পারেন। তিনবার পড়ে ছোট বাচ্চাদের গায়ে ফুঁ দিতে পারেন। তিনবার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে খাওয়াতে পারেন।
  
রসুলুল্লাহ (স.)-ও ছোটদের কোলে নিয়ে বিভিন্ন দোয়া পড়ে ফুঁ দিতেন। হাদিস গ্রন্থসমূহে এমন অনেক দোয়া বর্ণিত হয়েছে। এখানে একটি দোয়া উল্লেখ করা হচ্ছে। হজরত হাসান ও হুসাইনকে (রা.) নবীজি (স.) এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেন,
 
 أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ (উচ্চারণ: উয়িযুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন। 

অর্থ: সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি।)
 
হজরত ইবরাহিম (আ.) তার ছেলে হজরত ইসহাক (আ.) হজরত ইসমাইলকে (আ.) এই দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করতেন। (বুখারি ৩৩৭১) উৎস: সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়