বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। Pew Research Center-এর গবেষণা অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৭ বিলিয়ন থেকে ২.০ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১০ শতাংশ অর্থাৎ মুসলমানদের প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক গড়ের দ্বিগুণ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মুসলিম জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশ সম্পর্কে—
১. ইন্দোনেশিয়া : বিশ্বের সর্বাধিক মুসলমানের দেশ ইন্দোনেশিয়া।এখানে বর্তমানে প্রায় ২৪ কোটি মুসলিম বাস করে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭ শতাংশ।
২.পাকিস্তান : দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটিতে প্রায় ২৩ কোটি মুসলিম রয়েছে, যা তাদের মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ।
৩. ভারত : মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ না হয়েও ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে।এখানে প্রায় ২১ কোটি মুসলমান আছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ।
৪. বাংলাদেশ : আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ।
৫. নাইজেরিয়া : আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ নাইজেরিয়ায় বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি মুসলিম রয়েছে। এটি দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ শতাংশ।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট Pew Research Center এবং অন্যান্য জনসংখ্যাগত গবেষণা বলছে, প্রবৃদ্ধির হারে ইসলাম ধর্ম ছাড়িয়ে যাবে খ্রিস্ট ধর্মকেও। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা খ্রিস্টানদের প্রায় সমান হবে। আফ্রিকা ও এশিয়ায় দ্রুত প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, পাশাপাশি ইউরোপ ও আমেরিকায়ও মুসলমানদের উপস্থিতি আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে।
২০২৫ সালের বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যা ইসলাম ধর্মের বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতির প্রতিচ্ছবি। জাকার্তার মসজিদ থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক কিংবা লাগোসের মুসলিম কমিউনিটি পর্যন্ত সংখ্যার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক অবদানের মাধ্যমে মুসলিমরা আজ বিশ্বসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সূত্র : https://www.islamicity.org