শিরোনাম
◈ এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকে কোপালেন এনসিপি নেতা ◈ কমলাপুরে ট্রেনের শৌচাগারে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ, কর্মচারী আটক ◈ ভারতীয় পাইলটকে আটককারী সেই পাকিস্তানি মেজর টিটিপির হামলায় নিহত ◈ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়লো ◈ ‘তোমাদের হাতে ১২ ঘণ্টা সময় আছে’, এবার ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও ইরানি জেনারেলের ফোনকল ফাঁস ◈ এবার ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে হামলা ◈ আজ নতুন গিলাফে সজ্জিত হবে কাবা ◈ ইউনূসের আহ্বান: অপতথ্য দমনে মেটাকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ◈ এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই: ১০১ আইনজীবীর বিবৃতি ◈ চীন সফরে তৃতীয় দিনেও ব্যস্ত সময় পার করলো বিএনপির প্রতিনিধি দল — বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা ও হাই-টেক খাতে সহযোগিতার আশ্বাস

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:০০ দুপুর
আপডেট : ০৯ মে, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বদনজর থেকে বাঁচার আমল

নজর অর্থ দৃষ্টি। আর বদনজর মানে হলো, কুদৃষ্টি বা মন্দচাহনি। হিংসার নিকৃষ্ট স্বভাব-মিশ্রিত বিষাক্ত দৃষ্টিপাতের প্রভাবে ব্যক্তি বা বস্তুর মাঝে যে ক্ষতি দেখা যায় তাকে বদনজর বলা হয়। বদনজর দুইভাবে হয়—মানুষের বদনজর ও জিনের বদনজর। যুগে যুগে বদনজরের সমস্যা ও সমধান ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা বদনজর থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। কেননা বদনজর সত্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৫০৮)

বদনজরের প্রভাব বেশি পড়ে ছোট বাচ্চাদের ওপর। এ থেকে মুক্তি পেতে রাসুলুল্লাহ (সা.) রুকইয়া বা কোরআনি চিকিত্সা করতে আদেশ দিয়েছেন। ফলে এটি সুস্থতার নিয়ামত লাভ ও নিরাপদ-সাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপনে সহায়ক হয়।

বদনজরের লক্ষণ
বদনজরের আক্রান্ত ছোট বাচ্চাদের বেশ কিছু লক্ষণ ফুটে উঠে। যেমন—শিশুরা মায়ের বুকের দুধ বা খাবার খেতে না চাওয়া, অনর্থক ভয় পাওয়া, অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করা ইত্যাদি।
বদনজর থেকে বাঁচার আমল
বদনজরের রুকইয়া বা কোরআনি চিকিত্সা প্রধানত দুই পদ্ধতিতে করা যায়। এক. কোরআনের আয়াত বা হাদিসে বর্ণিত দোয়া লিখে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে, সে যেন ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিং গদাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াতিনি ওয়া আই ইয়াহদরুন’—এই দোয়াটি পড়ে। 

আবদুল্লাহ ইবনে আমর তার উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৯৩; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৮)

দুই. বিশেষ দোয়া বা সুরা পাঠ করে ঝাঁড়ফুক করা।

এই প্রসঙ্গে সহজ ও সংক্ষিপ্ত  চারটি আমল এই :

এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি এই—‘বিসমিল্লা হিল্লাজি লা-ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউং ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামাই ওয়াহুয়াস সামিউল আলীম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৮)

দুই, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকাল- সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়া পাঠ করবে সে প্রত্যেক সৃষ্টবস্তুর অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে সাপ বিচ্ছুর অনিষ্ট থেকে রেহাই পাবে। দোয়াটি হলো—‘আউযু বিকালিমা তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং শাররি মা খলাক।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৩২)

তিন. রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইন (রা.)-কে এই দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করতেন আর বলতেন তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.) এই দোয়ার মাধ্যমে (তাঁর সন্তানদের) ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো—‘আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং কুল্লি শাইতানিন ওয়াহাম্মাহ ওয়ামিং কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১৩২)

চার. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার সুরা ইখলাস, ফালাক এবং নাস পাঠ করবে। সবকিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫)

লেখক : খতিব, আবারপাড়া জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়