ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, আমরা রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা হলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। ফলে মানুষ মারা যাচ্ছে। সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক। এখন যে পরিস্থিতি, সামনের দিনে খারাপের দিকেই যাবে। আর যদি রাজনৈতিক দলগুলো বসে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে চায়, তাহলে এখনো সুযোগ আছে সেটা করার।
[৩] ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, হঠাৎ করে নয়, বিএনপির সহিংস আচরণ আগেও আমরা লক্ষ্য করেছি। সবসময়ই লক্ষ্য করেছি তারা রাজনীতির চেয়ে অপরাজনীতিতেই বেশি সম্পৃক্ত থাকেন। বিএনপির শাসনামলগুলোর কথা তো আমাদের এখনো মনে আছে। রাজনীতি করা হয় জনগণের কল্যাণে। জনগণের কল্যাণের বিরুদ্ধে গিয়ে পুলিশ হত্যা, হাসপাতালে আগুন, এম্বুলেন্সে আক্রমণ, সাধারণ মানুষের ওপর হামলা তো ইতিবাচক রাজনীতি হতে পারে না।
[৪] সাংবাদিকেরা সত্য তথ্য ও চিত্র তুলে ধরেন মানুষের সামনে। সত্যকে যারা গোপন করতে চান, সত্যকে যারা আড়াল করতে চান তারাই তো সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করবেন। সাংবাদিকদের কেন আক্রমণ বা হত্যা করা হয়? কারণ সত্য অনেকেই ভয় পান। সে কারণেই সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছেন তারা।
[৫] অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ বলেন, মনে হচ্ছে না দেশ সুস্থ পথে অগ্রসর হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের সংকট আরও গভীর হবে। দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও আমাদের দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হবে। এজন্য দরকার ধৈর্য্য ও উদারতা নিয়ে আগামী দিনের রাজনীতিটাকে পরিচালিত করা। যদি ধৈর্য্য ও ঔদার্য্যের অভাব ঘটে, তাহলে দেশ সমূহ সংকটে পড়বে।
বিএআর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :