শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২২, ১১:১৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০২২, ০১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ (অব.)

শান্তিরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে

আবদুর রশিদ

ভূঁইয়া আশিক রহমান: ২০০৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীগুলোর ভূমিকা কীভাবে মূল্যায়িত হয় জাতিসংঘ ও তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে? 

জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক, মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ (অব.) বলেন, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের যে চাহিদা, তার দশ ভাগের এক ভাগ পূরণ করে আসছে বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  অংশীদারিত্ব। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিশে^র সব জায়গায় প্রশংসিত। সংঘাতময় বিশে^ শান্তি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকাও বাড়তে থাকবে। বিশে^র শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের বাহিনী যে রক্ত দিচ্ছে তা কাজে লাগছে। তাদের প্রতি স্যালুট জানাচ্ছি। 

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যে দেশেই শান্তি রক্ষা ও সংঘাত বন্ধে ভূমিকা পালন করতে যান, স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে সংঘাত নিরসনে একাগ্রচিত্তে কাজ করার সক্ষমতা দেখান। ফলে সংঘাতময় দেশগুলোর মানুষ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীগুলোকে অত্যন্ত আপন করে দেখে। সংঘাতময় দেশ বা এলাকাগুলোতে যে দল-উপদলগুলো থাকে, তারা কখনো বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়নি। বরং বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কাজে খুশি হয়ে অনেক দেশ বাংলা ভাষাকে তাদের দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশগুলোর মানুষ বাংলা ভাষা শিখছেন। এতে বোঝায় যায়, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা কতোখানি তৈরি হয়েছে। 

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, বিশ্বের সংঘাতময় এলাকাগুলোতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করে আসছে। যেকোনো বৈরী পরিবেশ মোকাবেলায় আমাদের সৈন্য বাহিনী খুব ভালো সক্ষমতা দেখিয়েছেন। যা বিশ্বের অনেক দেশই দেখাতে পারেনি। এর ফলে বাংলাদেশের রেটিং বেড়েছে। মারাত্মক কোনো অপরাধকর্মে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী কখনোই জড়িত হয়নি। যেটা অনেক দেশের সৈন্যরা করেছেন। অনেক দেশের ব্যাটালিয়ান উইথড্র পর্যন্ত করতে হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীগুলোর উজ্জ্বল ভাবমূর্তির কারণে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন আমাদের উপর নির্ভর করে বেশি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ অনেক বড় দায়িত্ব পালন করছে। এতো বড় দায়িত্ব, এতো বড় স্পেস বাংলাদেশ আর কোনো বিষয়ে পালন করতে পারছে না। জাতিসংঘের মূল নীতিতে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত সব দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে এক ক্যাটাগরিতেই ফেলে। এখানে তারা কোনো দ্বিচারিতা করে না। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে নিজেদের গুণগত মান ধরে রাখতে হবে। তাহলে অশুভ চক্র যতো অপতৎপরতাই চালাক না কেন, ব্যর্থ হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়