শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২২, ১১:১৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০২২, ০১:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ (অব.)

শান্তিরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে

আবদুর রশিদ

ভূঁইয়া আশিক রহমান: ২০০৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীগুলোর ভূমিকা কীভাবে মূল্যায়িত হয় জাতিসংঘ ও তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে? 

জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক, মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ (অব.) বলেন, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের যে চাহিদা, তার দশ ভাগের এক ভাগ পূরণ করে আসছে বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  অংশীদারিত্ব। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিশে^র সব জায়গায় প্রশংসিত। সংঘাতময় বিশে^ শান্তি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকাও বাড়তে থাকবে। বিশে^র শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের বাহিনী যে রক্ত দিচ্ছে তা কাজে লাগছে। তাদের প্রতি স্যালুট জানাচ্ছি। 

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যে দেশেই শান্তি রক্ষা ও সংঘাত বন্ধে ভূমিকা পালন করতে যান, স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে সংঘাত নিরসনে একাগ্রচিত্তে কাজ করার সক্ষমতা দেখান। ফলে সংঘাতময় দেশগুলোর মানুষ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীগুলোকে অত্যন্ত আপন করে দেখে। সংঘাতময় দেশ বা এলাকাগুলোতে যে দল-উপদলগুলো থাকে, তারা কখনো বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়নি। বরং বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কাজে খুশি হয়ে অনেক দেশ বাংলা ভাষাকে তাদের দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশগুলোর মানুষ বাংলা ভাষা শিখছেন। এতে বোঝায় যায়, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা কতোখানি তৈরি হয়েছে। 

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, বিশ্বের সংঘাতময় এলাকাগুলোতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করে আসছে। যেকোনো বৈরী পরিবেশ মোকাবেলায় আমাদের সৈন্য বাহিনী খুব ভালো সক্ষমতা দেখিয়েছেন। যা বিশ্বের অনেক দেশই দেখাতে পারেনি। এর ফলে বাংলাদেশের রেটিং বেড়েছে। মারাত্মক কোনো অপরাধকর্মে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী কখনোই জড়িত হয়নি। যেটা অনেক দেশের সৈন্যরা করেছেন। অনেক দেশের ব্যাটালিয়ান উইথড্র পর্যন্ত করতে হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীগুলোর উজ্জ্বল ভাবমূর্তির কারণে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন আমাদের উপর নির্ভর করে বেশি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ অনেক বড় দায়িত্ব পালন করছে। এতো বড় দায়িত্ব, এতো বড় স্পেস বাংলাদেশ আর কোনো বিষয়ে পালন করতে পারছে না। জাতিসংঘের মূল নীতিতে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত সব দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে এক ক্যাটাগরিতেই ফেলে। এখানে তারা কোনো দ্বিচারিতা করে না। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে নিজেদের গুণগত মান ধরে রাখতে হবে। তাহলে অশুভ চক্র যতো অপতৎপরতাই চালাক না কেন, ব্যর্থ হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়