রাশিদুল ইসলাম: [২] মিয়ানমারের জান্তা গত চার দিনে আরও ঘাঁটি ও সেনা হারিয়েছে। পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএও)এর সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাদের সংঘর্ষগুলো ঘটে কাচিন, রাখাইন, মোন রাজ্য, সাগাইং, ও বাগো অঞ্চলে। এসব সংঘর্ষে অন্তত ১০ জান্তা সেনা নিহত হয়। ইরাবতি
[৩] কাচিন রাজ্যের মান্দালে-মিটকিনা রোডের একটি কৌশলগত জান্তা ঘাঁটি সোমবার তিন দিনের লড়াইয়ের পর জাতিগত সেনারা দখল করেছে বলে আরাকান আর্মি জানিয়েছে। কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও কাচিন রিজিয়ন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সাথে জান্তা সেনাদের লড়াইয়ের পর মানসি টাউনশিপের শিখাঙ্গি গ্রামের ঘাঁটিটি দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।
[৪] জান্তার বিমান বাহিনী ঘাঁটি রক্ষার জন্য ৬০ বারেরও বেশি বিমান হামলা চালায়। বিমান হামলায় ছয়জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরো ১৫ জন আহত হয়েছে বলে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে।
[৫] আরাকান আর্মি বলেছে যে তারা ১৯ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের পে ইউন তাং গ্রামে একটি জান্তা সামরিক ফাঁড়ি দখল করেছে। ওই দিন সকাল ৭ টার দিকে ফাঁড়িতে আক্রমণ শুরু করে এবং নয় ঘন্টা পরে এটি দখল করে।
[৬] সংঘর্ষ চলাকালে একটি জান্তা ফাইটার জেট তিনবার গ্রামটির আশেপাশে বোমা ফেলে। আরাকান আর্মি প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করে ও ১০ জন মৃত জান্তা সেনার মৃতদেহ খুঁজে পায়। জান্তা বেসামরিক এলাকায় বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে, বাসিন্দা, গবাদি পশুদের আহত ও হত্যা করেছে এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
[৭] এদিকে রাখাইনের বুথিডং এলাকা থেকে অন্তত ১শ মুসলিম নাগরিককে অপহরণের পর তাদের জোরপূর্বক বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাধ্য করছে। অপহৃতদের অধিকাংশই তরুণ এবং তাদের ৫৩৫ এবং ৩৫৩ ব্যাটেলিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[৮] ব্রিদ্রোহীদের থ্রি ব্রাদারহুড এ্যালায়েন্স জানিয়েছে জান্তা সরকারের হাত থেকে রাখাইনের অবশিষ্ট ঘাঁটির পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আপনার মতামত লিখুন :