ইমরুল শাহেদ: [২] এ তথ্য জানিয়েছে আরাকান আর্মি। রাখাইনের সাবেক রাজধানী ম্রাউক-ইউর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জান্তা বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার সময় কারাবন্দিদের হত্যা করে তাদের মরদেহ রাখা হয় বোমা রাখার একটি কেন্দ্রে। তাদের মধ্যে রয়েছে সাংবাদিক, তরুণ এবং সামাজিক মাধ্যমের সেলেব্রিটি।
[৩] আরাকান আর্মি সূত্র জানিয়েছে, যে সাতজনের মরদেহ এই কেন্দ্রে পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে গুলি করে মারা হয়েছে এবং বাকিদের দেওয়া হয়েছিল মাটি চাপা। সূত্র: ইরাবতি
[৪] রাখাইনের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই সাতজনকে শহরের কারাগার থেকে ব্যাটেলিয়নের একটি সেলে নিয়ে আটক রাখা হয়। তাদেরকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে ৩১ জানুয়ারি গুলিতে হত্যা করা হয়। তাদের শরীরে নির্যাতনেরও চিহ্ন ছিল।
[৪] সাংবাদিক মায়াত থু থুর আরেকটি নাম হলো পো থিহা। তিনি কাজ করতেন সাপ্তাহিক জার্নাল ‘ভয়েস অব বার্মা’য়। একইসঙ্গে কাজ করতেন দি ভয়েস জার্নালে। হত্যার শিকার হওয়া কাইয়ো জান ওয়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তাকে রাখাইনের জাতিগোষ্ঠীগুলো খুব পছন্দ করত। তার ‘এক্সোডাস’ গানটি ছিল বার্মায় ব্যাপক জনপ্রিয়।
[৫] সাংবাদিক পো থিহাকে জান্তা সেনা ও পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৫ (এ) ধারা লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। বলা হয়েছে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদিক ছড়িয়ে উস্কানিমূলক কাজ করেছেন। এই ধারা লংঘনের সাজা হলো তিন বছরের কারাগণ্ড।
[৬] ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার আগে থেকেই তিনি দেশভিত্তিক সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং পরে শুধু রাখাইনভিত্তিক গণমাধ্যমে কাজ করতেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আইএস/আইকে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :