সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হলে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই ‘অভিবাসী খেদাও অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার সাউথ ক্যারোলিনা রাজ্যে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরে আইওয়া রাজ্যে আরেক নির্বাচনি সমাবেশে সোমবার তিনি হামাস সমর্থন ও ইহুদীবাদের বিরোধীদের বহিস্কার এবং সন্ত্রাসপ্রবণ দেশগুলোর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা ঘোষণা করেন। সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, এএফপি
[৩] হামাসের সমর্থক অভিবাসীদের বহিস্কার ও মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা নিষিদ্ধ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হলে ইসরায়েলের যারা অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না এবং ইহুদী বিরোধী বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবেন। তিনি বলেন, হামাসের সমর্থনে বিক্ষোভের সময় সেখানে অফিসারদের পাঠাবেন যাতে যারা প্রকাশ্যে গ্রুপটিকে সমর্থন জানাচ্ছেন তাদেরকে গ্রেপ্তার ও বহিস্কার করতে পারেন।
[৪] ট্রাম্প ‘সন্ত্রাস প্রবণ দেশগুলোর’ ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালেই তার কট্টর অভিবাসন নীতির বিষয় চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়। তার এ নতুন অঙ্গীকার ও ঘোষণাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[৫] ট্রাম্প বলেন, তিনি লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন বা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কোন দেশের অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ নিষিদ্ধ করবেন। এ সময় ট্রাম্প একটি কবিতা আবৃতি করেন যার অর্থ হল, অভিবাসীরা হলেন ‘ভয়ংকর সাপ’। ড্রেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান জেইম হ্যারিসন ট্রাম্পের এসব অঙ্গীকারকে চরম ইসলামবিদ্বেষ বলে অভিহিত করে বলেন, এর লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভীতি ও আতংক’ সৃষ্টি করা।
[৬] রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রতিযোগিতার প্রাথমিক রাজ্যগুলোর একটি হল আইওয়া। প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ভিত্তিস্তম্ভ ছিল কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতি। আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
[৭] ] চলতি সপ্তাহে দ্বিদলীয় মতৈক্যের ভিত্তিতে সিনেটে আনা অভিবাসন-সংক্রান্ত বিলটি আটকে যায়। এর মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। ট্রাম্পের চাওয়া মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিবাসন ইস্যুতে জয়ী হতে দিতে চান না রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :