শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৫১ দুপুর
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানে অনার কিলিং, বাবা আটক

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] পাকিস্তানের ওই তরুণীর (১৮) হত্যার ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ‘পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যা’ বা অনার কিলিং ঘটনায় ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই তরুণীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে জানায় যায়, ছবিটি আসল নয়, ভুয়া। সূত্র: বিবিসি

[৩] ঘটনাটি ঘটেছে পািকস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত কোহিস্তান এলাকায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণীকে গত সপ্তাহে তার বাবা ও চাচা গুলি করে হত্যা করেছেন। স্থানীয় আদিবাসী কাউন্সিলের (জিরগা) বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তারা।

[৪] ভুক্তভোগী তরুণীর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ ওই তরুণীর বাবাকে আটক করেছে। তবে চাচা পলাতক রয়েছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ গত সোমবার জানিয়েছে, নিহত তরুণীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া ব্যক্তিদেরও খোঁজা হচ্ছে।

[৫] পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তরুণীর সঙ্গে যে ব্যক্তিকে দেখা গেছে, তাকেও পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কেননা, জিরগার বয়োজ্যেষ্ঠরা তারও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন। 

[৬] এ ছাড়া পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও এক নারী-পুরুষের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ছবিটিও ভুয়া। এ ছবির কারণে ওই ছবিতে থাকা দুজনও হত্যার হুমকি পেয়েছেন। এর পরপরই ভুক্তভোগী ওই নারীকে হেফাজতে নেওয়া হয়। যদিও পরে পরিবারের কাছে ত্কে তুলে দেওয়া হয়। ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের কাছে তার কোনো ঝুঁকি নেই। তিনি নিরাপদে থাকবেন।

[৭] পুলিশ বলছে, দুটি ঘটনাতে ফটোশপের মাধ্যমে ছবি জোড়া দিয়ে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। প্রতিবছর পাকিস্তানে কয়েক শ নারী অনার কিলিংয়ের শিকার হন। কিছু পুরুষও এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তবে তাদের সংখ্যা কম। সম্পাদনা: রাশিদ 

এসআই/আর/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়