সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার দেশটির দীর্ঘদিনের মিত্র চীন পৌঁছান বাশার। তিনি এ সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সূত্র: আল-আরাবিয়া, ডয়চে ভেলে
[৩] চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যাংজু দিয়ে এ সফর শুরু করেছেন বাশার। শনিবার থেকে সেখানে শুরু হচ্ছে এশিয়ান গেমস। এশিয়ান গেমসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্ট শির আমন্ত্রণে এ সফরে গেছেন বাশার। তার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে।
[৪] বাশার এবং এশিয়ান গেমসে যোগদানকারী অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দিতে শি জিনপিং শুক্রবার হ্যাংজুতে যাচ্ছেন।
[৫] ২০১১ সালে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটি প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রথম চীন সফর। এ সংঘাতে ৫ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সিরিয়ার অবকাঠামো ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
[৬] জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাশার য্দ্ধুবিক্ষত সিরিয়ার পুনর্গঠনে চীনা সহায়তা লাভের চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীন মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়।
[৭] বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় স্বৈরাচার বাশার সরকারকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কূটনৈতিক সমর্থনও দিয়ে থাকে চীন। দেশটি এ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে বাশার সরকারের বিপক্ষে আনীত প্রস্তাবে আটবার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে।
এসআই/এইচএ