সাজ্জাদুল ইসলাম: মিয়ানমারের গায়িকা লিলি নায়িং কাইয়াউ গুলিবিদ্ধ হন। সামরিক শাসন বিরোধী বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার সকালে লিলি মারা যান। সূত্র: বিবিসি
তার মৃত্যু কেবল সামরিক জান্তার সমর্থকদেরকেই মর্মাহত করেছে তা নয়, জান্তাপন্থী মিডিয়াতে যারা কাজ করেন তাদেরকেও দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
সামরিক জান্তার শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ৫৮ বছর বয়েসি গায়িকা লিলির। ২০২১ সালে জান্তা দেশটিতে ক্ষমতা দখল করে। লিলি জান্তার পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করেন বলে অভিযোগ করা হয়। তার হত্যার ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা জান্তা বিরোধী নগর গেরিলা গ্রুপের সদস্য বলে বলা হয়েছে। আটক করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাদের একজনের দুই আত্মীয়কে হত্যা করা হয়। লিলি হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের সমর্থক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ধারাবাহিক হত্যার সর্বশেষ শিকার হলেন গায়িকা লিলি।
তার ওপর হামলার চার দিন আগে সুপরিচিত জাতীয়তাবাদী ও সামরিক বাহিনীর সমর্থক টিন্ট লউইনকে হত্যা করা হয়। ইয়াংগুনের একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় তার মাথায় গুলি করা হয়। গত গ্রীষ্মেও তার ওপর হামলা করা হয়েছিল। সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান। তারপর থেকে টিন্ট আত্মগোপনে ছিলেন।
৩০ মে সন্ধ্যায় লিলির ওপর হামলা করা হয়। ইয়াংগুনের ইয়ানকিন উপশহরে নিজের বাসভবনের বাইরে গাড়ি পার্ক করার সময় তার ওপর হামলা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাড়িতে তার মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার ছবি প্রকাশ পায়।
সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একজন নিরীহ নারীকে নৃশংসভাবে গুলি করা হয়েছে। জান্তার সমর্থক ১৭টি সংগঠন বিবৃতি দিয়ে গায়িকা লিলির হত্যার নিন্দা করেছে। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
এসআই/এমআই/একে