শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়ালো, যুদ্ধাবস্থা সীমান্তজুড়ে ◈ 'আপ বাংলাদেশ' নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ◈ দেশে অনলাইন জুয়া সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে: অনলাইনে জুয়া বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও) ◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২৩, ১২:৪২ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২৩, ১০:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লিভ ইন পার্টনারকে খুন, মরদেহ টুকরো করে গরম পানিতে ফোটাল প্রেমিক

চঞ্চল পাল, পশ্চিমবঙ্গ: ভারতের দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া এবার মুম্বাইয়ে। রাগের বশে লিভ ইন পার্টনারের দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে লুকিয়ে রেখেছিলেন ফ্ল্যাটে। দুর্গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে টুকরো টুকরো দেহগুলি উদ্ধার করে। মুম্বাইয়ের মীরা রোডের এই নৃশংস ঘটনায় ৫৬ বছরের অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।

খুনে অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ় মনোজ সাহানির সঙ্গে দীর্ঘ দিন একত্রে বাস করতেন ৩৬ বছরের সরস্বতী বৈদ্য। মীরা রোডের গঙ্গানগর অঞ্চলের আকাশদীপ নামের একটি আবাসনে ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন তারা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বোরিওয়ালি এলাকায় একটি ছোট দোকান চালাতেন মনোজ। তাদের ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ আসতে থাকায় থানায় খবর দেন আবাসনের অন্য বাসিন্দারা। পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাট থেকে সরস্বতীর পচাগলা দেহাংশ উদ্ধার করে। ফ্ল্যাটের অন্য প্রান্তে পাওয়া যায় আরও কিছু দেহাংশ।

মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত বজবলে বলেছেন, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন মনোজ। এমনিতে তাদের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কোনও বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হচ্ছিলো। তারই জেরে রাগের মাথায় কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে সে খুন করে সরস্বতীকে। তারপর মরদেহ পিস পিস করে গরম জলেও ফোটায়।

পুলিশের অনুমান, খুনের পর প্রমাণ লোপাট করার জন্যই এই কাজ করেছিল মনোজ। তবে ঠিক কী কারণে খুন করেছেন তা মনোজকে জেরা করে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে বুঝতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এ ঘটনায় কয়েক মাস আগের শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। শ্রদ্ধার খুনেও প্রায় একইভাবে তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুণাওয়ালার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। শ্রদ্ধাকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা এবং অল্প অল্প করে জঙ্গলে ফেলে আসার অভিযোগ ওঠে আফতাবের বিরুদ্ধে। দিল্লির এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা ভারতে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়