মিহিমা আফরোজ: উড়িষ্যার ট্রেন দুর্ঘটনায় চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে লাশ। কেউ স্বজন হারিয়ে কাঁদছেন, কারও চোখেমুখে মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখার আতঙ্ক। ট্রেন দুর্ঘটনার যেসব ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে শুধু ভয়াবহতা আর হাহাকার ফুটে উঠেছে। ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ট্রেনের কামরা কাত হয়ে পড়ে আছে রেললাইনের ধারে। তার সামনেই দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে গিয়েছে দেহ। পাশে ছড়িয়ে আছে জামাকাপড়, ব্যাগপত্র। এনডিটিভি
রেললাইন থেকে বেশ খানিকটা দূরে উল্টে থাকা ট্রেনের বগি দেখতে সকাল সকাল ভিড় করেছেন অনেকে। স্থানীয় কৌতূহলিরা ট্রেনের কাছে গিয়ে ঘটনার ভয়াবহতা দেখছেন। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের বেশ কিছু কামরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ট্রেনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে যন্ত্রপাতির টুকরো।
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনযাত্রী গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, হঠাৎ ট্রেনটি ধাক্কা খেল। আমি যে বগিতে ছিলাম, সেটি তীব্র গতিতে লাইনচ্যুত হয়ে গেল। এরপর সেটি মাটির ওপর দিয়ে বেশ কিছুদূর গিয়ে থামল। তখন দেখি পাশের জানালার শিক ভেঙে গেছে। কেউ একজন জানালার শিক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। আর আমরা বাইরে বের হয়ে এলাম।
দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে নেমেছে ভারতের ন্যাশনাল ডিজেস্টার রিলিফ ফোর্সের (এনডিআরএফ) সদস্যরা। আরও রয়েছে উড়িষ্যা ডিজেস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও (ইউডিআরএএফ)। দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনার খবরে টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, উড়িষ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। মোদি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়াও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ
প্রতিনিধি/এসএ