মাজহারুল মিচেল: আফগানিস্তানের শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল সালাম সম্প্রতি আরব নিউজকে দেয়া এক সক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত যে এই বছর আমাদের ফসল বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে হেরাত, নিমরোজ এবং বাদঘিস প্রদেশে। আমরা সম্প্রতি রিপোর্ট পেয়েছি যে ঘোর এবং হেলমান্দে জাফরানের চাষও ভাল এবং (স্কেল) বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তান ২০২২ সালে ৫১,০৯৬ কেজি জাফরান বিক্রি করেছে।
তারা জানান, বিদায়ী বছরে আফগানিস্তানে ২০১৮ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি জাফরান উৎপাদিত হয়েছে। আফগানিস্তান স্যাফরন প্ল্যন্টার্স ন্যাশনাল ইউনিয়নের প্রধান বাশির আহমেদ রাশদির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ১৯ হাজার ৪৬৯ কেজি জাফরান উৎপাদন করেছেন আফগান কৃষকরা। এ সময় দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের মোট ৩৭ হাজার হেক্টর জমিজুড়ে মূল্যবান মসলাপণ্যটির চাষ হয়েছে। সূত্র: সিনহুয়া
তারা আরও বলেন, দেশে উৎপাদিত মোট জাফরানের ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করে আফগানিস্তান। বিদায়ী বছরে এ খাতে দেশটির আয় ২ কোটি ৭০ হাজার মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আফগানিস্তানে উৎপাদিত জাফরানের প্রধান ক্রেতা। আহমেদ রাশিদি বলেন, এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি জাফরানের মূল্য ১ হাজার থেকে দেড় হাজার ডলারের মধ্যে। মসলাটির মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে যখন ৩ হাজার ডলারে পৌঁছায়, স্থানীয় মুদ্রায় এর দাম দাঁড়ায় ৭০ হাজার আফগানি বা ৯০৯ ডলারে। সূত্র: বণিক বার্তা
দেশটির স্থানীয় জাফরান প্রক্রিয়াজাত সংস্থা ন্যাব গ্রুপের প্রধান হাজি আবদুল শাকুর রাহিমি জানান, তিনি লক্ষ্য করেছেন দেশটির বেশকিছু কোম্পানি বিভিন্ন দেশে নিম্ন বা একেবারে মানহীন জাফরান রফতানি করছে, যা বিশ্ববাজারে আফগান জাফরানের সুনামের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।
কাবুল ভিত্তিক প্রযোজক শাহানা আফগান জাফরানের পরিচালক হাজি হিমাত আরব নিউজকে বলেছেন, উপসাগরীয় দেশগুলির অনেক বিনিয়োগকারী তাদের নিজ নিজ দেশে আফগান জাফরানের বাজার তৈরি করতে আগ্রহী। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এসবি২