শিরোনাম
◈ তারুণ্যের শক্তি আমাদের জাতির চালিকাশক্তি : প্রধান উপদেষ্টা ◈ দেশে নিবন্ধিত কোচিং সেন্টার ৬,৫৮৭, অনিয়ন্ত্রিত আরো বহু; নীতিমালা শূন্যতায় বাড়ছে বাণিজ্যিকীকরণ ◈ অনলাইন জুয়ার অর্থ লেনদেনে দুই অভিনেত্রী গোয়েন্দা নজরে ◈ রাবি হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৯ প্রার্থী ◈ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে যেভাবে ধরা পড়ল ৫০ প্রতারক! (ভিডিও) ◈ জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলনে নাম‌ছে, কিন্তু কেন ◈ ভ্যালেন্সিয়ার জা‌লে বার্সেলোনার ৬ গোল ◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ ◈ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ২০০ কোচ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৩, ০৫:১০ বিকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২৩, ০৩:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আফ্রিকায় সৃষ্টি হচ্ছে নতুন মহাসাগর 

সাজ্জাদুল ইসলাম: আফ্রিকা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। তার মাঝে তৈরি হচ্ছে একটি নতুন মহাসাগর। দূরবর্তী ভবিষ্যতে এ মহাসাগর সৃষ্টি হচ্ছে। ফাটল থেকে তৈরি হবে এ মহাসাগর। বিজ্ঞানীরা একথা জানান। ইকনোমিক টাইমস

লীডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টোরাল শিক্ষার্থী ক্রিস্টোফার মুর বলেন, ‘কিভাবে একটি মহাদেশীয় ফাটল একটি মহাসাগরীয় ফাটলে রূপ তা আপনি কেবল এ মহাদেশেই গবেষনা করার সুযোগ পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মহাসাগরীয় কিভাবে সৃষ্টি হয় তা আমরা এখানে দেখতে পাবো। যা গঠন ও ঘনত্বের দিক থেকে মহাদেশী ভূ-ত্বক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।’

ইথিওপিয়ার মরুভূমিতে এ ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এ ফাটল থেকে সৃষ্ট  নতুন মহাসাগরের সম্ভবত তীরবর্তী দেশ হবে কেনিয়া ও উগান্ডা। পূর্ব আফ্রিকান ফাটল নামে পরিচিত ৩৫ মাইল দীর্ঘ ফাটলের সৃষ্টি হয় ২০০৫ সালে। তবে এ ফাটল থেকে পূর্ণাঙ্গ মহাসাগর তৈরি হতে প্রায় ৫০ লাখ ও ১ কোটি বছর লাগতে পারে। গবেষকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।  
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মেরিন জিওফিজিসিস্ট ও এমিরেটাস প্রফেসর কেন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘আফার অঞ্চলে পূর্ব আফ্রিকান ফাটল উপত্যাকার সঙ্গে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগর একাকার হয়ে তৈরি হবে নতুন মহাসাগর। আর পূর্ব আফ্রিকার একাংশ নিয়ে গড়ে উঠবে একটি ছোট নতুন মহাদেশ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জিপিএসএর যত বেশি পরিমাপ করছি ততই আমরা কি ঘটতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারছি।’

ইকনোমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী এ ফাটলের কারণ অজ্ঞাত। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, তাদের ধারণা সাগরের তলদেশে যে ধরণের  টেক্টোনিক প্রক্রিয়া চলে ঠিক অনুরূপভাবে এ ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফাটল স্থানগুলো তিনটি টেক্টোনিক প্লেটের সীমান্তে অবস্থিত। প্লেট তিনটি হলো সোমালিয়ান টেক্টোনিক প্লেট, নুবিয়ান টেক্টোনিক প্লেট ও অ্যারাবিয়ান টেক্টোনিক প্লেট। প্রতি বছর এ ফাটল কয়েক মিলিমিটার করে বাড়ছে।

নিউ অরলিন্সএর  তুলেন ইউনিভার্সিটির ভূপদার্থবিদ সিন্থিয়া এবিনগার বলেন, যে এলাকাটিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে সেটি বিশ্বের সবচাইতে উত্তপ্ত অঞ্চল। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করে। বিশ্বের সবচাইতে উত্তপ্ত বসতি অঞ্চল হলো আফার। সেখানে দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকে সাধারণত ১৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট আর রাতে কমে ৯৫ ফারেনহাইটে নেমে আসে।

এসআই/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়