জাফর খান: আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত দেশটি পরিস্থিতি সামলাতে এবারে যেন পশ্চিমা দেশগুলির সাহায্য পেতে অনেকটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর তাই আর্থিক সঙ্কট দূর করতে এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে যুদ্ধ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহবাজ সরকার। এছাড়াও সামরিক অস্ত্রসহ প্রতিরক্ষার নানা সরঞ্জাম ইউক্রেনে পাঠাবে পাকিস্তান। বিনিময়ে আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে সাহায্য করবে পশ্চিমা দেশগুলি। তবে এই প্রথমবার যুদ্ধের ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এমনকি ইউক্রেন এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং শিল্প চুক্তি থাকায় শুরু থেকেই দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে পাকিস্তান। ইকোনমিক টাইমস
ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইংয়ের ওয়েবসাইটের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ১৯৮০ সালে দেশটি ৩৫০ টি-৮০ ইউডি মডেলের ট্যাংক ক্রয় করেছিল। আর এগুলোর মধ্য থেকে ৪৪ টি যুদ্ধ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেহবাজ সরকার। বিনিময়ে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চীন থেকে ভিটি-৪ মডেলের বেশ কিছু ট্যাংকও পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এর আগেও পোলান্ড হয়ে পাকিস্তান আনজা এম কে ২ এমএএনপিএডিএস মডেলের বেশ কিছু সামরিক অস্ত্রাদি সরবরাহ করেছে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য মারফত আর্টিলারি শেল পাঠিয়েছিল পাকিস্তান।
এদিকে ফার্ষ্ট পোস্টের বরাত দিয়ে জানা গেছে, দেশটিতে ২ হাজার ৪ শত ৬৭ টি ট্যাংক রয়েছে। এসবের মধ্যে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো হতে এর আগে সোভিয়েত টি-৮০ মডেলের বেশ কিছু ট্যাংক কিনেছিল দেশটি। পূর্ব থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ণের ভাঙনের পর এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়। এর আগে ২০২০ সালে দেশটির সঙ্গে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সামরিক চুক্তিও সম্পাদিত করে ইউক্রেন।
গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানে আর্থিক সঙ্কট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ইসলামাবাদের বন্ধু দেশগুলি ঋণ প্রদানে উৎসাহ না দেখানোয় এমন সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়েছে শেহবাজ সরকার বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আগ্রাসণের পর থেকেই অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিল পাকিস্তান।
জেকে/এএ