রাশিদুল ইসলাম: মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে কয়েক দফা হাজার হাজার কর্মী ছাঁইয়ের মাধ্যমে লক্ষাধিক কর্মী গণছাঁটাই করেছে। মাইক্রোসফ্ট বলুন, টুইটার বলুন, গুগল, মেটা এমনি আরো বিশ^খ্যাত কত কোম্পানি, এদের কর্মকর্তারা বলছেন বাজার পড়ে যাওয়ায় কোম্পানিকে টিকিয়ে রাখতেই তারা এটি করছেন। কিন্তু কেউ ভাবছেন না ছাঁটাইকৃত লক্ষাধিক কর্মীর কি হবে।
বিশ্বের নামকরা কোম্পানিগুলিতে গণ ছাঁটাইয়ের হিড়িক শুরু হয়েছে বিগত কয়েকমাস আগে থেকেই। সর্বশেষ এ তালিকায় আগেই নাম লিখিয়েছে ডিজনি। ফেব্রুয়ারির পর ফের চাকরি হারাতে পারেন এই সংস্থার ৪,০০০ কর্মী।
এপ্রিল মাসের শুরুতেই ডিজনির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগেই এই ৪,০০০ কর্মীর নাম ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হতে পারে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ডিজনির সিইও বব ইগর ৭০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিলেন।
মূলত কোম্পানির ব্যয় সংকোচের কথা ভেবেই এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে কোম্পানি আগামী কয়েক বছরে অন্ততপক্ষে, ৩ বিলিয়ন ডলার সঞ্চয় করতে পারবে। ডিজনি এন্টারটেইনমেন্ট, ইএসপিএন, ডিজনি পার্ক এই তিন শাখা পুনর্গঠনের সঙ্গে গণ ছাঁটাই সম্পর্কিত বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
আগামী ৩ এপ্রিল ডিজনির বার্ষিক সভার আগেই তারা বিনোদন চ্যানেল ‘হুলু’ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চায়। এই চ্যানেলটির দুই-তৃতীয়াংশের মালিকানা রয়েছে ডিজনির হাতে। সার্বিক ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত বিষয় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এই ছাঁটাইয়ের ফলে কোম্পানির সার্বিক উন্নতিই হতে চলেছে এমনটাই মনে করা হচ্ছে ডিজনির তরফে। কর্মীসংখ্যা এবং ব্যয়সংকোচের ফলে পরিষেবা আরও উন্নততর হবে বলে আশা করছেন বব ইগর। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী মন্দার যে সমস্যায় আক্রান্ত বিশ্বের সবকটি প্রথম সারির কোম্পানি, সেই সমস্যা মোকাবিলা করতেও এই কর্মী সংকোচন অন্যতম পথ বলেই মনে করছেন তিনি। কোম্পানির খরচ ৫.৫ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজনি সিইও।