শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:১৩ বিকাল
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিখোঁজ ও নিহত নারীদের পরিবার মার্কিন প্রশাসনের কাছে জবাবদিহিতা চায়

আমেরিকা

জাফর খান: ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হেনরি স্কট নামক ১৪ বছরের এক তরুনী পার্টি শেষে বাড়ী ফেরার পথে নিখোজ হয়ে যায়। সে উচ্চ মাধ্যমিকের এক শিক্ষার্থী ছিল। স্কট মন্টানা অঙ্গরাজ্যের ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাসিন্দা ছিলেন। পরবর্তীতে ভারতীয় ব্যুরোকে বিষয়টি অবহিত করে তার পরিবার। কিন্ত বাস্তবে দেখা যায়, দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যায় লিখিত অভিযোগ জমা দিতে। স্কটের মা পলা ক্যাস্ট্রো জানান, অভিযোগ দায়ের হলেও তা টেবিলেই পড়ে থাকে শীতকালীন  ছুটি থাকায়।

যদিও বা কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা তাদের গতিতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। পরে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনস (এফবিআই) রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামলেও তা পরিবারের কাছে থেকে যায় অজানা। আর এর কিছুদিন পরেই স্কটের বাসার ২০০ গজ সামনেই তার মৃতদেহের খোজ মিলে। 

স্কটের মৃত্যুর ঠিক নয় মাস পর আরেক অষ্টাদশী তরুনী কায়সিরা ঠিক একইভাবে পার্টি থেকে বাড়ী ফেরার পথে নিখোজ হয়। আর এই বিষয়ে পরিবারের অভিযোগের পরও ‘বিগ হর্ন’ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারকে কিছু জানায়নি। এর ৫ দিন পর তার নিথর দেহের সন্ধান মিলে ব্যাস্তত্যম সড়কের কাছে অবস্থিত এক পার্কের পেছনে। অথচ এই বিষয়েও দুই সপ্তাহ চলে গেলেও কায়সিরার পরিবারকে কোনো কিছু অবহিত করেনি কর্তৃপক্ষ।

স্কট ও কায়সিরার এই নিহতের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে যায়। আর তাদের পরিবার ‘বিগ হর্ন’ কর্তৃপক্ষের কাছে পায়নি সন্তোষজনক কোনো সদুত্তোর। যা কিনা আইন শৃঙ্খলা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে এই ধরনের নিখোজ ও নিহতের ক্রমাগত ঘটনা এরই মধ্যে মিডিয়াতেও তোলপাড় তুলেছে।

স্থানীয় এক নারী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক লুসি সিম্পসন সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান কে জানিয়েছেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন ধরনের সহযোগিতা ছাড়াই স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের কমিউনিটির সাহায্যে এসমস্ত নিখোজের ঘটনা গুলোর তদন্ত করে আসছে।এসব নিখোজ বা রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দেখা যায়নি নিরাপত্তা বাহিনীর কোন রকম ভাবনা।’
 
এর আগে ২১০৭-১৯ সালে এক মন্টানা রাজ্যের এক সরকারী প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৬.৭ শতাংশ নারী এভাবে নিখোজ হয়ে মৃত্যবরন করেছে অথচ বাস্তবে এর সংখ্যা ২৬শতাংশ।

‘বিগ হর্ন কাউন্টি’ কর্তৃপক্ষ এক রিপোর্টে জানায়, এদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ নারীই স্থানীয় নাগরিক। আর ২০১৮ সালে পাচারের শিকারও হয়েছে বহু নারী। 

এত কিছুর পরেও এখনো ভিকটিমদের পরিবার চেয়ে আছে ন্যায় বিচারের প্রতাশায় বলে জানালেন নারী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক লুসি সিম্পসন। পথ চেয়ে আছে মানুষগুলো ফেরত না আসলেও অন্তত সঠিক বিচারের মধ্য দিয়ে তাদের আত্মার তৃপ্তি লাভ হবে।

জেকে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়