রাশিদুল ইসলাম: ইরানের একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার ঘটনার কথা রোববার সকালে দেশটির বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে। তবে রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক স্থপনায় ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান। ফারস বার্তা সংস্থাকে ইস্পাহানের উপ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজা জান নাসেরি জানান, এ হামলায় সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সিএনএন
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ইসফাহান শহরের ইরানি প্রতিরক্ষা কারখানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, হামলা চালাতে আসা তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তবে এ হামলা কারা চালিয়েছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলা চালাতে আসা একটি (ড্রোন) ... বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পাল্টা আঘাত করা হয় এবং অন্য দু’টি ড্রোন ইরানি প্রতিরক্ষা ফাঁদে পড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে। সৌভাগ্যবশত, এই ব্যর্থ আক্রমণে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি এবং ওয়ার্কশপের ছাদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আইআরআইবি বলেছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজের কাছে একটি শিল্প অঞ্চলের তেল শোধনাগারে আগুন লেগেছে। তেল শোধনাগারে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে টিভি ফুটেজে দমকলকর্মীদের আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এপি বলছে, ইরান ও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আর এই ছায়া যুদ্ধের মধ্যে ইরানের সামরিক এবং পারমাণবিক স্থাপনায় গোপন হামলাও হয়ে থাকে। ২০২১ সালের এপ্রিলে ইরান তার ভূগর্ভস্থ নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছিল। ওই হামলায় ইরানি এই পারমাণবিক স্থাপনার সেন্ট্রিফিউজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ২০২০ সালে ইরানে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত হামলায় ইসরায়েল ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করার কথা পরে স্বীকার করে।