শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৮:৩০ সকাল
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৮:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে আদানির বন্দরের বিরুদ্ধে জেলেদের বিক্ষোভে উত্তাল কেরালা

রাশিদুল ইসলাম: ভরতের কেরালায় ভিঝিনজাম বন্দর নির্মাণের প্রতিবাদে গত সপ্তাহেই থানায় হামলা চালিয়েছিল আন্দোলনকারী জেলে সম্প্রদায়। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন একজন ক্যাথলিক যাজক। তিনি আবার একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদোষগার করেছেন। আর, তার জেরে শাসক সিপিএম এই গোটা বিক্ষোভকে সাম্প্রদায়িকতার তকমা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে।
এই অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা গত চার মাস ধরে আদানি গ্রুপের বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই বন্দর নির্মাণের ফলে সমুদ্র ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। তারা জীবিকা সংকটে পড়ছেন। সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষার পর ওই প্রকল্পের কাজ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

গত সপ্তাহেই কেরালার হাইকোর্টের এক নির্দেশের পর কাজ ফের শুরু হয়েছে। কিন্তু, তারমধ্যেই থানায় হামলা। আর, তার জেরে ফের বন্ধ হয়ে গেল বন্দর নির্মাণের কাজ। হামলার ঘটনায় তিন হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভকে মৎস্যমন্ত্রী ভি আবদুররহিমান ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ বলে অভিযোগ করেছেন। পালটা প্রতিক্রিয়ায় তিরুঅনন্তপুরমের ল্যাটিন ক্যাথলিক আর্চডিওসিস এবং সমুদ্রবন্দর বিরোধী প্রকল্প কমিটির আহ্বায়ক ফাদার থিওডাসিয়াস ডি’ক্রুজ কড়া মন্তব্য করেছেন। তিনি কেরলের মৎস্যমন্ত্রীকে, ‘নামেই মন্ত্রী, আসলে একজন জঙ্গি’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

যদিও পরে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ডি’ক্রুজ। তার মুখ দিয়ে আচমকা কথাটা বেরিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন। তবে, বিষয়টি খোলা মনে গ্রহণ করেননি আবদুররহিমান। তিনি খ্রিস্টান ফাদারের ক্ষমাপ্রার্থনা করাকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি। উলটে হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন যে, ‘সমাজ এই ধরনের মন্তব্য গ্রহণ করবে না।’

গোটা ঘটনায় অবশ্য আশার আলো দেখছে শাসক দল সিপিএম। তাদের আশা, খ্রিস্টান পুরোহিতের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জেলেদের আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন কমবে। আর, তার জেরে বিক্ষোভ সামলে বন্দর নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ হবে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক ও পলিটব্যুরো সদস্য এমভি গোবিন্দন ওই খ্রিস্টান যাজককে নিশানা করেছেন। তিনি ওই যাজককে ‘সাম্প্রদায়িক ও বিকৃত মানসিককতা’র বলে অভিযুক্ত করেছেন। গোবিন্দন বলেছেন, ‘যদি ওই যাজক মুসলিম নামের কারণে একজন মন্ত্রীর মধ্যে জঙ্গিকে খুঁজে পান, তবে তিনি অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক মানসিকতার। রোববার ভিজিনজামে যা ঘটেছিল, তা স্রেফ একটি দাঙ্গাই ছিল।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়