শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:৩০ দুপুর
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে মুসলিম শিক্ষার্থীকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে বরখাস্ত অধ্যাপক

রাশিদুল ইসলাম: ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে ‘সন্ত্রাসী’ বলায় অধ্যাপক বরখাস্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার ভারতের মানিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে এ ঘটনা ঘটে। ওই অধ্যাপক যখন  ওই শিক্ষার্থীকে ‘সন্ত্রাসী’ বলেন তখন এর প্রতিবাদ করেন তিনি। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। এনডিটিভি

ওই দিন অধ্যাপক শুরুতে ওই শিক্ষার্থীর নাম জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তার নাম বলেন। নাম শোনার পর ওই অধ্যাপক তখন তাকে সন্ত্রাসীর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘তুমি কাসাবের মতো!’ মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হামলায় ধরা পড়া পাকিস্তানি সন্ত্রাসী আজমল কাসাবের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর তুলনা করেন অধ্যাপক। অধ্যাপকের কাছ থেকে এ কথা শোনার পর ওই শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আপনি এ ধরনের কথা কীভাবে বলেন?’ এর জবাবে ওই অধ্যাপক বলেন, তিনি কৌতুক করে এ কথা বলেছেন। এ কথার প্রতিবাদ করে ওই শিক্ষার্থী তখন বলেন, তাকে সন্ত্রাসীর সঙ্গে তুলনা করে তিনি তার ধর্মের অবমাননা করেছেন।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘২৬/১১ কোনো কৌতুক ছিল না। এ দেশে মুসলিম হিসেবে প্রতিদিন এসবের মুখোমুখি হওয়া কৌতুকের বিষয় নয়, স্যার। আপনি আমার ধর্ম নিয়ে কৌতুক করতে পারেন না, বিশেষ করে এভাবে অবমাননাকর হিসেবে।’

এরপর ওই অধ্যাপক তার কথার জন্য ক্ষমা চাইতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘তুমি আমার ছেলের মতো।’ তখন ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আপনি কি আপনার ছেলের সঙ্গে এভাবে কথা বলেন? তাকে কি আপনি সন্ত্রাসী নামে ডাকেন?’

ওই অধ্যাপক তখন বলেন, ‘না’। তখন ওই শিক্ষার্থী বলতে থাকেন, ‘তাহলে কীভাবে আপনি এত শিক্ষার্থীর সামনে আমাকে এভাবে বলতে পারেন। আপনি একজন পেশাদার ব্যক্তি। আপনি শিক্ষা দিচ্ছেন। দুঃখ প্রকাশ করে আপনি কীভাবে চিন্তা করেন বা নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করেন তা কখনোই পরিবর্তন করা যাবে না।’ ওই অধ্যাপককে তখন ক্ষমা চাইতে শোনা যায়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা এ কথোপকথন নীরবে শুনেছেন।

ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পুরো ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে কাউন্সেলিং করার কথাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ থেকে ছড়ানো আরেক হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিওতে ওই শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখেছেন আপনারা। ওই ভিডিওতে শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষককে বর্ণবাদী মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য বলে কথা বলতে শোনা যায়। এর কারণ, শিক্ষক তাকে কাসাব নামে ডেকেছে যা ভারতের অন্যতম বড় সন্ত্রাসী। আমি পরে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। বুঝতে পেরেছি, তিনি সত্যিকার অর্থে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা ছাত্র সম্প্রদায় হিসেবে বিষয়টিকে বড় করে দেখছি না। একে ভুল হিসেবে দেখছিল। তার মধ্যে কি হচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি। আমি মনে করছি, তিনি সত্যিকার অর্থেই ক্ষমা চেয়েছেন। একজন শিক্ষকের কাছে এমন ভুল হয়েছে যাকে আমরা ব্যক্তি হিসেবে প্রশংসা করি। কিন্তু এখন এটি উপেক্ষা করা যেতে পারে। পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়