ইমরুল শাহেদ: দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ছয় মাসের ব্যবধানে ট্রাক চালকদের দ্বিতীয় বড় ধরনের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া হলো এশিয়ার চতুর্থ ও বিশ্বের ১০তম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ। দেশটির পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটকে কোরিয়ার জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ট্রাক ঘর্মঘটের কারণে উৎপাদন ও জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। রয়টার্স
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছেন ট্রাকচালকরা। তবে ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে জেল-জরিমানাসহ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি তেলের দাম কমানোসহ ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও ধর্মঘট শুরু করেছেন ট্রাকচালকরা। বৃহস্পতিবার প্রায় ২৫ হাজার ট্রাক শ্রমিক ধর্মঘটে অংশ নেন। এ সময় সরকারের কাছে নানা দাবি জানান তারা। তবে পরিবহন ধর্মঘটে কোনোভাবেই সহিংসতা মেনে নেয়া হবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী ওন হি রায়াং। এমনকি ট্রাকচালকরা যদি ধর্মঘটের নামে কোনো ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তাহলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল বা ৩ কোটি কোরিয়ান মুদ্রা জরিমানা করা হবে বলেও জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায়, ট্রাক চালকরা সরকারের কাছে ‘নিরাপদ মালবাহী হার’ নামে পরিচিত একটি ন্যূনতম বেতন ব্যবস্থা স্থায়ী করার আহ্বান জানাচ্ছে, যা বছরের শেষ নাগাদ মেয়াদ শেষ হতে চলেছে এবং অন্যান্য শিল্পে ট্রাকচালকদের সুবিধাগুলি প্রসারিত করতে। এর মধ্যে তেল ট্যাঙ্কারও রয়েছে।
এর আগে, গত জুন মাসে ট্রাকচালকদের ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়ে গোটা দক্ষিণ কোরিয়া। সে সময় মাত্র এক সপ্তাহে অর্থনৈতিকভাবে প্রায় ১৫ লাখ ডলারের ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটি। মজুরি বৃদ্ধি ও তেলে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবিতে সে সময় সাত দিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রাকচালকদের ধর্মঘট চলে। ধর্মঘটের কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর জুন মাসে দেশটিতে রপ্তানি প্রায় ১৩ শতাংশ কমে গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় চার লাখ ২০ হাজার ট্রাকচালক রয়েছেন। তারা বেশির ভাগই স্বাধীন শ্রমিক।
আইএস/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :