শিরোনাম
◈ বাসা বরাদ্দে ঘুষ, ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করল সরকার ◈ জুলাইয়ে আমদানি ৬.২ বিলিয়ন ডলার, তিন বছরের সর্বোচ্চ ◈ শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বজ্রবৃষ্টি ঝরতে পারে যেসব অঞ্চলে ◈ আরব-মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশপথ অবরোধে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ◈ অনলাইন জুয়ার শাস্তি বিষয়ে যা জানালো তথ্য মন্ত্রণালয় ◈ বাংলাদেশে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার ◈ এক বছরে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি: নাহিদ ইসলাম ◈ কুমিল্লার হোমনায় মাজারে অগ্নিসংযোগ: অজ্ঞাত ২২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা, এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি ◈ ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন: ২৩২ পদে লড়বেন ৯৩১ প্রার্থী ◈ মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে নেপালের চিকিৎসক বললেন ‘রোগীদের ছেড়ে যাব না’!

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৪:০৪ দুপুর
আপডেট : ০৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:০৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তরুণ, বিদ্রোহী ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’, অর্থনীতির বড় ক্ষতি

ইমরুল শাহেদ: মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে গত বছর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পর যারাই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে গিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দমনপীড়ন শুরু করেছে দেশটির সামরিক জান্তা। বিশেষ করে তাদের বড় প্রতিপক্ষ হলো যুব সমাজ। তারাই বেশি প্রতিবাদ মুখর হয়েছে।

কিন্তু এই যুব সমাজের ওপর যখন দেশের অর্থনীতির ভার থাকার কথা, তখন তাদেরকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ছে। আল-জাজিরা

অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের জয়েন্ট সেক্রেটারি কো বো চি বলেন, প্রতিটি যুবককে দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে দেখছে সামরিক জান্তা।

অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো যেসব ডকুমেন্টারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থিদের বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের দমনপীড়নে ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী কমপক্ষে ৯০০ যুবককে হত্যা করেছে। একই বয়সসীমার কমপক্ষে ২৮০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যুবসমাজের হওয়া উচিত দেশের ভবিষ্যত। কিন্তু আটক, নির্যাতন ও হত্যার মধ্য দিয়ে তাদেরকে শেষ করে দেয়া হচ্ছে। 

মিয়ানমারের সর্ব দক্ষিণের তানিনথারিয়ি’র এলাকার যুবকদের ৮ জন বলেছেন, শহরগুলোতে যুব শ্রেণির মানুষ নেই বললেই চলে। তাদের বেশিরভাগই পালিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। অথবা যোগ দিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলনে। যারা এখনও এলাকায় আছেন, তাদের মধ্যে সর্বক্ষণ ভয়, হতাশা কাজ করছে।  

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ামনারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। নির্বাচিত বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচির সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে মিয়ানমার। কিন্তু তাদেরকে দমন করতে সামরিক জান্তা ব্যবহার করে প্রাণঘাতী অস্ত্র।

আত্মগোপনে থাকা বিরোধীরা যাতে বেরিয়ে আসেন, সে জন্য তাদের পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের পিছু লাগে জান্তা সরকার। অভ্যুত্থানের পর প্রবীণ পিতামাতা এবং তাদের টিনেজ বয়সী শিশু সহ কমপক্ষে ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সামরিক জান্তা।

অনলাইনে কর্মকাণ্ড চালানোও বিপজ্জনক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কমপক্ষে ২০০ মানুষকে।

এর মধ্যে ৭ জনকে ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে। সাক্ষাৎকার দেয়া ব্যক্তিরা বলছেন, মিয়ানমারে তাদের জন্য এখন আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়