শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা পেছাতে পারে আরও ◈ ফোন নজরদারিতে নতুন পদক্ষেপ: স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং চালু করতে চায় ভারত ◈ মজুদ প্রচুর, তবুও দুই দিনে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়ল ৪০ টাকা ◈ লবণ উৎপাদনে ধস: আমদানি অনুমতিতে দামপতন, বিপাকে চাষী–মিল মালিক ◈ খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ রাতে ◈ মান‌বিক সাহায্যের হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে উধাও ◈ ‌বিশ্বকাপ ফুটবল, শক্তিশালী নরওয়েকে নিয়ে কঠিন গ্রুপে ফ্রান্স ◈ ফুটবল নি‌য়ে বিপা‌কে তুরস্ক,  জুয়া-ম্যাচ ফিক্সিংয়ে গ্রেপ্তার ২৭ খে‌লোয়াড়  ◈ যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক, প্রতিবা‌দে যাত্রী‌রা পায়জামা প‌রে হা‌জির ◈ বিশ্বকা‌পে মেসির খেলা নি‌য়ে আবা‌রো বাড়‌লো জল্পনা 

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বে ঋণের বোঝা বাড়লেও ব্যতিক্রমী যারা: জিডিপির ৯৫% ঋণমুক্ত যেসব দেশ

২০২৫ সালে এসে বিশ্বজুড়ে ঋণের বোঝা যখন মোট জিডিপির ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে, তখনো কিছু দেশ এই বোঝা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পেরেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক'-এর তথ্যে উঠে এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে কম ঋণের দেশগুলোর চিত্র।

বিশ্বের সবচেয়ে কম ঋণের দেশগুলোর বেশ কয়েকটির অবস্থান এশিয়ায়। এগুলো মূলত ছোট অর্থনীতির দেশ হলেও এদের প্রবৃদ্ধি বেশ স্থিতিশীল এবং ঋণের বোঝা ক্রমশ কমছে। অন্যদিকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ব্যতিক্রম লিখটেনস্টাইন। দেশটির ঋণের পরিমাণ জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

আইএমএফের তথ্যে দেখা যায়, ঋণের খাতায় একেবারে 'শূন্য' অবস্থানে রয়েছে মাকাও। বিশ্বের বৃহত্তম 'গ্যাম্বলিং হাব' হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের আয় মূলত আসে ক্যাসিনো ও গেমিং খাত থেকে। এই খাত থেকে আসা শতকোটি ডলার আয় এবং শক্তিশালী আর্থিক রিজার্ভের কারণে মাকাওয়ের কোনো ঋণের প্রয়োজন হয় না।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে লিখটেনস্টাইন। ইউরোপের একমাত্র দেশ হিসেবে সেরা দশে জায়গা পেয়েছে তারা। এটি মূলত একটি বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র। মজার বিষয় হলো, ২০২৫ সালের শুরুতে দেখা গেছে, দেশটির মোট জনসংখ্যার চেয়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা বেশি। এমনকি সেখানে বসবাসরত মানুষের চেয়ে নিবন্ধিত করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেশি। উল্লেখ্য, দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৪১ হাজার।

এদিকে, জিডিপির মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ঋণ নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। তেলসমৃদ্ধ দেশটির সরকারি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে জ্বালানি তেল থেকে। ২০২৪ সালে তারা তেল বিক্রি করে প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার আয় করেছে।

কুয়েতের মতো রাশিয়াও তেল রপ্তানির ওপর ভর করে ঋণের বোঝা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির অর্থনীতি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ২০২৫ সালে রাশিয়ার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। কঠোর আর্থিক নীতি ও পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কারণে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও রাশিয়ার অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই সচল রয়েছে।

সূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়