কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে ইরান। আন্তর্জাতিক তেল পরিবহন পর্যবেক্ষক সংস্থা ট্যাঙ্কারট্র্যাকার্স জানিয়েছে, গত চার সপ্তাহে ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে—যা ২০১৮ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ।
২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে সরে এসে ইরানের ওপর কঠোর তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এরপর থেকেই দেশটির রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে যায়। তবে এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে তেহরান।
ট্যাঙ্কারট্র্যাকার্স তাদের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, গত চার সপ্তাহে ইরান প্রতিদিন প্রায় ২.৩ মিলিয়ন ব্যারেল ক্রুড অয়েল রপ্তানি করেছে। ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসের পর এই প্রথম দেশটির রপ্তানি এতটা উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক তেল বিশ্লেষক হোমায়উন ফালাকশাহি গত অক্টোবরের শেষ দিকে জানান, ইরানের তেল বিক্রি তখন দৈনিক ২১ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছিল—যা দেশটির জন্য আরেকটি রেকর্ড।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের ট্যাঙ্কারগুলো আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে অবাধে চলাচল করছে এবং তেল রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনা, কিন্তু বাস্তবে রপ্তানি এখন বরং ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, মূলত চীনের বিপুল চাহিদা এবং বিকল্প বাণিজ্য চ্যানেল তৈরির মাধ্যমে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রপ্তানি চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে তেহরানের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ