শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:২৮ দুপুর
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কিমের ছোঁয়া সব চিহ্ন নিখুঁতভাবে মুছে নিল নিরাপত্তারক্ষীরা! (ভিডিও)

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর কিম জং উনের ব্যক্তিগত স্টাফরা বৈঠকের কক্ষটি নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করেছে। চায়ের কাপ, টেবিল, চেয়ারের হাতল থেকে শুরু করে কিম জং উন ছুঁয়েছে এমন প্রতিটি জিনিস বিশেষ যত্নের সঙ্গে পরিষ্কার করা হয়েছে যাতে কোথাও কিমের কোনো চিহ্ন না থাকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সচরাচর নিজের দেশের বাইরে বের হন না। এমন নিজ দেশেও অনুষ্ঠিত কোনো আয়োজনে তিনি উপস্থিত হলেও পাওয়া যায় না তার কোনো ভিডিও ফুটেজ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় বড়জোর কয়েকটি স্থিরচিত্র। বরাবরই নিজের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে বেশ কড়াকড়ি মেনে চলেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতার কোনো ব্যত্যয় হয়নি।

ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে ক্রেমলিনের প্রতিবেদক আলেক্সান্দার ইউনাশেভ একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেন যাতে দেখা যায়, অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে কিমের ব্যবহৃত কিংবা ছোঁয়া জিনিসপত্র। ওই রিপোর্টার বলেন, ‘বৈঠকের পর ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার কর্মীরা সব তার এই কক্ষ থেকে তার সব চিহ্ন মুছে ফেলছেন যেন তিনি কখনো এখানে আসেননি।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিদেশি গুপ্তচরদের নজর এড়াতেই এত কড়াকড়ি। শুধু যে যেসব স্থানে কিম গিয়েছেন কিংবা যেসব জিনিস কিম ছুঁয়েছেন তা-ই পরিষ্কার করা হয়েছে তা নয়, নিজের ব্যাপারে তথ্য গোপন করতে সুদূর উত্তর কোরিয়া থেকে টয়লেটও বহন করে এনেছেন কিম জং উন! এবারই প্রথম নয়, এর আগের বিদেশ সফরগুলোতেও ব্যক্তিগত টয়লেট নিয়ে গেছেন কিম। দক্ষিণ কোরীয় এবং জাপানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে জাপানি সংবাদপত্র জাপানের নিক্কেই জানিয়েছে, কিমের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো তথ্য যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের উত্তর কোরিয়া নেতৃত্ব বিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল ম্যাডেন বলেন, ‘বিশেষ টয়লেট, এর পাশাপাশি আবর্জনা, বর্জ্য ও সিগারেটের অবশিষ্টাংশ যাতে কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা, এমনকি বন্ধুসুলভ সংস্থার হাতে পৌঁছাতে না পারে, তা নিশ্চিতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।’

শুধু যে কিমের ব্যবহারের পরেই তার ব্যবহৃত জিনিস ও কক্ষ পরিষ্কার করে তার কর্মীরা এমন নয়। তার ব্যবহারের আগেও জিনিসপত্র সতর্কতার সঙ্গে পরিষ্কার করে তারা। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে বৈঠকের আগে, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা রক্ষীরা চেয়ার এবং ডেস্কে জীবাণুনাশক স্প্রে করে এবং পরিষ্কার করে। ২০২৩ সালে পুতিনের সঙ্গে আরেকটি শীর্ষ বৈঠকেও কিমের নিরাপত্তা দল ভালোভাবে চেয়ার টেবিল পরিষ্কার করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়