শিরোনাম
◈ মোদির লাভ, পুতিনের ভরসা, জিনপিংয়ের প্রভাব—এসসিও সম্মেলনে নতুন ভূরাজনীতি ◈ প্রেমিক যুগল অপহরণচেষ্টা:, উদ্ধারে গেলে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পুলিশকে এলোপাতাড়ি কো.প ◈ ছেলে জয়কে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন শাকিব-অপু ◈ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় ইসি কর্মকর্তারা ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ লন্ডনের রাস্তায় যা করলেন ভারতীয় ছাত্রী, ভিডিও ভাইরাল ◈ ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৩৮ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে এস আলম! ◈ ‘২ মাসের বেশি রিলেশনে থাকি না, টেস্ট চেঞ্জ করতে ভালো লাগে’ ◈ নির্বাচনের জন্য ১০ লাখের বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি ◈ এবার নিলামে বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার ঘনফুট সাদাপাথর

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:২৩ বিকাল
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভয়ংকর ক্ষুদ্র জীবাণু মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার প্রাদুর্ভাব কেরালায়: এক মাসে ৩ মৃত্যু, আক্রান্ত শিশু ও নারী

ভারতের কেরালা রাজ্যে হঠাৎ করেই নায়েগ্লেরিয়া ফউলারি নামের মারাত্মক এক ক্ষুদ্র জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। একে সাধারণভাবে বলা হয় ‘ব্রেইন-ইটিং অ্যামিবা’ বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা। ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত কেরালায় ৪২টি নিশ্চিত এমন সংক্রমণ ধরা পড়েছে।  এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, আগস্টে এ সংক্রমণে মাত্র এক মাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আছে ৩ মাস বয়সী এক শিশু এবং ৫২ বছরের এক নারী।

এর আগে একই মাসে ৯ বছর বয়সী একটি মেয়েও মারা যায়। আরও কয়েকজন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেরালা সরকার দ্রুত ‘ওয়াটার ইজ লাইফ’ নামে একটি ক্লোরিনেশন অভিযান শুরু করেছে। এর অধীনে কূপ, পানির ট্যাংক ও জনসাধারণের গোসলখানা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে। 

মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা হলো উষ্ণ পানিতে জন্মানো একধরনের প্রোটোজোয়া। কূপ, পুকুর, নদী, হ্রদ এবং অপর্যাপ্তভাবে ক্লোরিন দেয়া সুইমিং পুলে এটি বেশি থাকে। সাঁতার, গোসল বা নাক পরিষ্কারের সময় এটি নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে এবং দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছে প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস (পিএএম) নামের রোগ ঘটায়। সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল হলেও মৃত্যুহার ৯৫-৯৮ ভাগ।  ভারতে আগে প্রায় ২০টি কেস নথিভুক্ত হলেও, প্রায় সবাই মারা গেছেন। ২০২৪ সালে কেরালায় ৩৬টি এমন ঘটনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে  ৯ জন মারা যান।

উষ্ণ তাপমাত্রা ও অতিবৃষ্টি অ্যামিবার বংশবৃদ্ধি বাড়ায়। কূপ, পুকুর ও স্থানীয় পানির উৎসে নোংরা পানি ও জৈব বর্জ্য মেশার মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটে। কাঁচা/অপরিশোধিত পানি দিয়ে নাক ধোয়ার ফলে সংক্রমণ ঘটতে পারে। সংক্রমণের ১-১২ দিনের মধ্যে দেখা দেয় উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ও বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, আলোতে সংবেদনশীলতা ইত্যাতি। এরপর বিভ্রান্তি, হ্যালুসিনেশন, খিঁচুনি, ভারসাম্য হারানো ও কোমা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও মৃত্যু হতে পারে, যেমন সম্প্রতি কেরালায় ৯ বছরের এক মেয়ের ক্ষেত্রে হয়েছে। 

প্রতিরোধের উপায়: বাড়িতে পানি ব্যবহার করা। অপরিশোধিত কূপ, পুকুর বা নদীতে গোসল এড়িয়ে চলা। নাক ধোয়া বা আচার-অনুষ্ঠানে অবশ্যই ফুটানো/ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করা। প্রাকৃতিক জলে মাথা ডুবিয়ে সাঁতার কাটা এড়িয়ে চলা। নাকের ক্লিপ ব্যবহার করলে ঝুঁকি কমে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়