জাঞ্জিবারের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক আবদুল কাদের বাজামিল রোববার জানান, উদ্ধারকারী দল সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকা থেকে ৫৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের স্থানীয় শাকরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত আবিয়ান প্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
শনিবার সন্ধ্যায় আবিয়ান প্রদেশের শাকরা উপকূলে আরব সাগরে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়। নৌকাটিতে প্রায় ১৫০ আরোহী ছিলেন। তাদের বেশির ভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক।
বাজামিল জানান, শহরের নিকটবর্তী একটি এলাকায় নিহত ব্যক্তিদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান চলছে।
অভিবাসী ও শরণার্থীরা ইয়েমেন ও হর্ন অব আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে নৌপথ ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথ হিসেবে পরিচিত। দুই দিক থেকেই বহু মানুষ এই পথ ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। ২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশ ছেড়ে পালানো ইয়েমেনিদের সংখ্যা এই পথে হঠাৎ বেড়ে যায়।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে হুথি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ফলে সহিংসতা কিছুটা হ্রাস পায় এবং দীর্ঘদিনের চলমান মানবিক সংকট কিছুটা হলেও কমে আসে।
অন্যদিকে আফ্রিকার সংঘাতপূর্ণ দেশ, বিশেষ করে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া থেকে পালিয়ে আসা অনেকেই আশ্রয়ের সন্ধানে ইয়েমেনে যেতে চান। অনেকে ইয়েমেন হয়ে আরও উন্নত উপসাগরীয় দেশগুলোর দিকে যেতে চান। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এ রুটটিকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে ব্যস্ত ও বিপজ্জনক’ অভিবাসন রুটগুলোর একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইয়েমেন যাওয়ার জন্য লোহিত সাগর কিংবা এডেন উপসাগর পার হতে বিপজ্জনক ও জনাকীর্ণ নৌকায় করে মানুষকে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। এসব যাত্রা প্রায়ই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।