ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বাস্তবায়ন শীর্ষক এ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করে সৌদি আরব ও ফ্রান্স। ইউরোপের কিছু দেশের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইসহাক দার বলেন, আমরা ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই এবং অন্য দেশগুলোকেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে এই বৈশ্বিক ধারা এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করি। তিনি বলেন, গাজা এখন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিমালার কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলের হাতে ৫৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু, নিহত হয়েছেন। এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বাধ্যতামূলক ব্যবস্থার নগ্ন লঙ্ঘন।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গাজার জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, অবাধ খাদ্য সহায়তা প্রবাহ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধেরও দাবি জানান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। এতে বলা হয়, জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈশ্বিক সম্মেলনে ইসহাক দার বলেন, ত্রাণ অবরোধ এবং শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, ত্রাণ কাফেলার মতো বেসামরিক অবকাঠামোয় ইচ্ছাকৃত হামলা বৈধতা ও মানবতার সব সীমারেখা অতিক্রম করেছে। এই সমষ্টিগত শাস্তি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি জানিয়ে দার বলেন, শুধু রাজনৈতিক বিবৃতি নয়, পাকিস্তান ফিলিস্তিনের প্রাতিষ্ঠানিক ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাস্তব অবদান রাখতে প্রস্তুত। জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সেবা খাতে কারিগরি সহায়তা ও সক্ষমতা উন্নয়নে পাকিস্তান প্রস্তুত। এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান আরব-ওআইসি পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষা কাঠামোয় অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতিষ্ঠান গঠনে অবদান রাখতে আগ্রহী।
ওদিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধানে কার্যকর দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিশ্চিত করতে এখনই বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে। গাজাকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার কোনো অজুহাত নেই। তিনি বলেন, এ সম্মেলন একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে, যা দখলদারিত্ব শেষের পথে বাস্তব অগ্রগতি আনবে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারো বলেন, গাজার লড়াই অবশ্যই শেষ হতে হবে। কিন্তু এটিই শেষ লক্ষ্য হতে পারে না। প্রকৃত সমাধান কেবল দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক কাঠামোই দিতে পারে। অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই, রাজনৈতিক সংলাপই একমাত্র পথ।