শিরোনাম
◈ সরকারের যে কোনো ভুল সিদ্ধান্তে মাথাচাড়া দিতে পারে ফ্যাসিস্ট: তারেক রহমান ◈ এমপিওভুক্ত পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য সুখবর ◈ ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমদানি শুল্ক বাড়ছে: যে ৫ পণ্যের দাম বাড়তে পারে ◈ বিভিন্ন জেলার ১০২ জন এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার ◈ গাজীপুরে আসন বাড়বে, কমবে বাগেরহাটে: ইসি ◈ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেল সড়ক, দুর্ভোগে ২০ হাজার বাসিন্দা ◈ রামগতির সাথে বয়ারচরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জোয়ারের তোড়ে ব্রিজের মাটিতে ধ্বস ◈ ৫ ডি‌সেম্বর ২০২৬ সা‌লের ফুটবল বিশ্বকা‌পের ড্র ◈ কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবিতে অনুষদীয় গেটে তালা দিলো শিক্ষার্থীরা ◈ উরুগু‌য়ে‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল

প্রকাশিত : ০৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:৪১ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

পিছিয়ে পড়েও উইম্বলডনের কোয়ার্টারে জকোভিচ

স্পোর্টস ডেস্ক : সোমবার ( ৭ জুলাই) উইম্বলডনের রয়্যাল বক্সে চাঁদের হাট। উপস্থিত সস্ত্রীক কিংবদন্তি প্রাক্তন টেনিস তারকা রজার ফেডেরার। রয়েছেন সস্ত্রীক প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। পুরুষদের সিঙ্গলসের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ শুরু হতেই উপস্থিত দর্শকদের শিরদাঁড়ায় শিহরণ তুলে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তরুণ তারকা অ্যালেক্স ডি’ মিনাউর। প্রতিপক্ষ সার্বিয়ান কিংবদন্তি নোভাক জকোভিচকে প্রথম সেটে কার্যত উড়িয়েই দিলেন।

ব্যবধান ৬-১। সবার মনেই তখন আশঙ্কা দানা বাঁধছে। তা হলে কি এবারের উইম্বলডনে আরও একটা অঘটন ঘটতে চলেছে? না। তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ, মিনাউর যাঁর বিরুদ্ধে খেলছিলেন, তিনি জকোভিচ। সাতবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের লক্ষ্যে সেন্টার কোর্টে নেমেছিলেন। অতীতে বহুবার এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। ফিরেও এসেছিলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এক সেট পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে পরবর্তী তিনটি সেট জিতে ১-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে মিনাউরকে হারিয়ে সার্বিয়ান কিংবদন্তি পৌঁছে গেলেন উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে। 

এই নিয়ে উইম্বলডনে ১৬বার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন। শেষ আটের যুদ্ধে তাঁর প্রতিপক্ষ ফ্ল্যাভিও কোবোলি।

তিন ঘণ্টা ১৯ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জিতে জকোভিচ জানিয়ে দিলেন তাঁর মনের কোণে জমে থাকা শঙ্কার কথা। মজার ছলেই বললেন, “মনে হয় এই প্রথমবার রজার ফেডেরার আমার ম্যাচ দেখল এবং আমি জিতলাম। এর আগে রজার যতবার আমার ম্যাচ দেখতে এসেছিল, ততবারই আমি হেরেছিলাম। অবশেষে অভিশাপ খণ্ডাতে পেরে ভালো লাগছে?” যখন জকোভিচ কথাগুলি বলছিলেন, তখন নীল সুট পরে রয়‍্যাল বক্সে বসে থাকা সুইস কিংবদন্তি মিটিমিটি হাসছেন। জকোভিচ যোগ করলেন, “রজারের এখানে উপস্থিত থাকাটা অসাধারণ ঘটনা। চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়।

ওকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে টেনিসের কোর্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। উইম্বলডন রজারের প্রিয় টুর্নামেন্ট। এবং ওর এখানে ফিরে আসাটা দুর্দান্ত ব্যাপার। উইম্বলডনে এখনও পর্যন্ত রজারই যে সবথেকে সফল খেলোয়াড়, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।” এক কিংবদন্তি অপর কিংবদন্তিকে প্রশংসায় যখন ভরিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন উপস্থিত দর্শকরা দুইজনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন। জকোভিচ আরও বলেন, “মাঝেমাঝে ভাবছিলাম, রয়‍্যাল বক্সে ওই যে ভদ্রলোকটি বসে আছে, তার মতো যদি সার্ভ এবং ভলি করতে পারতাম তা হলে কী দারুণই না হতো!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়