শিরোনাম
◈ নোবেলজয়ী থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান: জন্মদিনে নতুন অধ্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে এবার ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা ◈ বাংলাদেশের সাথে আলোচনায় বসতে চায় ভারত, উদ্দেশ্য কী? (ভিডিও) ◈ ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, সেই জায়গায় নির্মিত হবে জুলাই ‘গণমিনার’ ◈ শিরীন শারমিন চৌধুরী কোথায়, তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: গোলাম মাওলা রনি (ভিডিও) ◈ সরকার নতুন ৩ দিবসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে ◈ চরভদ্রাসন থানায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে আটককৃত ৩০ টি মোটরসাইকেল ◈ রায়পুর বণিক সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টের ◈ আসছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম! ◈ এক লাখ টাকা করে বিশেষ অনুদান পাচ্ছে দেশের ১০১ স্কুল-কলেজ, দেখে নিন তালিকা

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৮ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২৫, ০৩:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ শেষের পথে, ভারত চাইছে ‘স্বার্থভিত্তিক’ নতুন সমঝোতা

আগামী বছর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গঙ্গা নদীর পাণিবণ্টন বিষয়ক গঙ্গা চুক্তি শেষ হচ্ছে। এরপর নয়াদিল্লি বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের ‘স্বার্থ অনুযায়ী’ নতুন চুক্তির ব্যাপারে ভাবছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ পানি চুক্তি বাতিলের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তির একাধিক বিকল্প অথবা এতে সংযোজন-বিয়োজনের ব্যাপারে দিল্লি ভাবছে। গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ক চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। ৩০ বছর আগে ১৯৯৬ সালে এই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল। এখন নতুন করে চুক্তির বিষয়টি সামনে আসছে, যেখানে পারস্পরিক সমঝোতার প্রয়োজন। ভারত সম্পূর্ণ নতুন একটি চুক্তি নিয়ে ভাবছে, যেখানে তাদের ‘বর্তমান উন্নয়নমূলক বিষয়াবলীর’ বিষয়টি থাকবে।

গঙ্গা পানি চুক্তি কী?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের একটি কাঠামো তৈরি করেছিলেন। এতে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধে, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। মূলত ফারাক্কায় পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল, সেটি নিরসনে এ চুক্তিটি হয়।

ভারত ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ সচল করে। এই বাঁধের মাধ্যমে গঙ্গা থেকে পানি হুগলি নদীতে নিয়ে যাওয়া হয় যেন কলকাতা বন্দর নৌ চলাচলের উপযোগী থাকে। গঙ্গা চুক্তির মাধ্যমে উজানের দেশ ভারত ভাটির দেশ বাংলাদেশকে কথা দেয় যে তারা ফারাক্কা বাঁধে পানি সরবরাহ ঠিক রাখবে। এই বাঁধটি তৈরি করা হয়েছে বাঘিরথি নদীতে, যা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ভারত কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের জন্য গঙ্গার ৪০ হাজার কিউসেক পানি একটি খালের মধ্যে নিয়ে যায়।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর ১১ মার্চ থেকে ১১ মে পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই প্রতি ১০ দিনের জন্য ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। কিন্তু ভারত এখন নতুন চুক্তি করে এই সময়টায় আরও ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক বেশি পানি চায়। তাদের দাবি, এখন যেহেতু তাদের কৃষির প্রসার ঘটেছে, তাই আরও বেশি পানির প্রয়োজন। তারা এখন তাদের সেচ, বন্দর রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আগের চেয়ে বেশি পানি চেয়ে নতুন চুক্তি সাজাচ্ছে। ভারতের কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস। তাদের মতে, এখন তাদের যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন, সেটি বর্তমান গঙ্গা চুক্তি মেটাতে পারছে না। অনুবাদ: নিউজ24

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়