বাল্কান অঞ্চলের কুখ্যাত দৃষ্টিহীন ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গা প্রায় তিন দশক আগে মারা গেলেও তার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে আজও বিশ্বজুড়ে চর্চা চলে, বিশেষ করে যখন বৈশ্বিক সংঘাত বা দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দেয়।
বর্তমানে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
ঠিক এই সময়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে বাবা ভাঙ্গার একটি পুরনো বক্তব্য, যেখানে তিনি নাকি বলেছিলেন—‘যখনই সিরিয়া পতিত হবে, তখনই পশ্চিম ও পূর্বের মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ শুরু হবে। বসন্তে পূর্বে যুদ্ধ শুরু হবে এবং তা গড়াবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এক পূর্বের যুদ্ধ যা পশ্চিমকে ধ্বংস করে দেবে।’
তার এই কথাগুলোকে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মেলাতে চেষ্টা করছেন অনেকেই।
বাবা ভাঙ্গার নামে ২০২৫ সাল ঘিরে আরও কিছু অদ্ভুত ভবিষ্যদ্বাণী ঘুরছে। যেমন বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা টেলিপ্যাথিক ক্ষমতা আবিষ্কার করবেন, ফর্মুলা ওয়ান রেসার লুইস হ্যামিলটন নতুন দল ফেরারির হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবেন, সুপার বোল-এর হাফটাইম শোতে এলিয়েনরা নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করবে এবং একটি নতুন ক্লিন এনার্জি সোর্স সামনে আসবে।
এসব ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও অনেকে দাবি করছেন যে, কিছু বিষয় ঠিকঠাক মিলেও গেছে। যেমন, চলতি বছর মার্চে মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ২,০০০ জন নিহত হন, যার কম্পন পৌঁছে যায় ব্যাংকক পর্যন্ত। আবার যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যে চারটি আলাদা ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি ছিল ৪.০ মাত্রার।
এই সময়ে বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা চরমে। ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তবে পাল্টা জবাব হবে ‘যা আগে কখনও দেখা যায়নি এমন মাত্রায়’।
অন্যদিকে, ব্রিটেন নাকি রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে সংঘাতে লিপ্ত, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে কিছু আন্তর্জাতিক মহলে। যদিও বাবা ভাঙ্গার অনেক কথাই নানা সময়ে ভুল প্রমাণিত হয়েছে, কিছু ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়ে সেটাকেই সত্যি ধরে নেওয়ার প্রবণতা মানুষের মাঝে থেকেই যায়।
তবে একথা বলাই যায় যে, ভবিষ্যতের সঠিক ধারণা পাওয়া সহজ নয়। তাই কল্পনা ও গুজবকে ভিত্তি না করে বাস্তবতা অনুযায়ী প্রস্তুত থাকা ও সচেতন থাকাই বর্তমান সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। সূত্র: জো.কো