২৭ বছর বয়সেই বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হয়ে বিশ্বের কনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় নাম লেখালেন জিমি ডোনাল্ডসন, যিনি মিস্টার বিস্ট নামে ইউটিউবে পরিচিত। তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার আরেক নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। ইকোনমিক টাইমস জানায়, বর্তমানে মিস্টার বিস্টের নেট ওয়ার্থ দাঁড়িয়েছে এক বিলিয়ন ডলারে, যা সম্পূর্ণ নিজ উপার্জনে অর্জিত।
২০১২ সালে ইউটিউবে যাত্রা শুরু করেন নর্থ ক্যারোলাইনার এই তরুণ। শুরুতে গেমিং ও রিয়াকশন ভিডিও বানালেও ২০১৭ সালে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান এক ব্যতিক্রমী ভিডিওর মাধ্যমে। ওই ভিডিওতে তিনি টানা ৪৪ ঘণ্টা ধরে ১ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত গণনা করেন, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ২৪ ঘণ্টা। বর্তমানে ভিডিওটির ভিউ সংখ্যা ৩১ মিলিয়নেরও বেশি।
২০১৬ সালে যেখানে তার সাবস্ক্রাইবার ছিল মাত্র ৩০,০০০, সেখানে ২০২১ সালের মধ্যে দ্রুততম সময়ে গ্রো করা চ্যানেল হয়ে ওঠে MrBeast। মাত্র এক বছরেই অর্জন করেন ৩৭ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার। আর ২০২৪ সালে ইউটিউবের সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবড চ্যানেলের মালিক হয়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে মিস্টার বিস্টের চ্যানেলে ৩৯৭ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। রয়েছে আরও ১০টি ভিন্ন ভাষার ইউটিউব চ্যানেল।
২০২৩ সালে তার আয় ছিল ২২৩ মিলিয়ন ডলার। শুধু ইউটিউব নয়, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও সফল মিস্টার বিস্ট। নিজের প্রতিষ্ঠিত চকলেট ব্র্যান্ড Feastables মাত্র এক বছরেই আয় করেছে ১০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও রয়েছে ফাস্টফুড চেইন Beast Burger, এবং কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য বিনিয়োগ তহবিল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান Joes Furs।
জনসেবায়ও সমানভাবে সক্রিয় এই ইউটিউবার। কখনো গৃহহীনদের জন্য ঘর তৈরি, কখনো দৃষ্টিহীনদের বিনামূল্যে চোখের অপারেশন, আবার কখনো দরিদ্রদের গাড়ি উপহার দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে এক ঘোষণায় মিস্টার বিস্ট জানান, অর্থহীন জীবন তিনি চান না। মৃত্যুর আগে নিজের উপার্জিত অধিকাংশ অর্থ মানবতার কল্যাণে দান করে যেতে চান।
বিশ্বের কনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হিসেবে মিস্টার বিস্ট কেবল একটি নাম নয়, বরং একটি অনুপ্রেরণার গল্প। একটি ক্যামেরা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি থেকে শুরু করে আজকের এই অসামান্য সাফল্য—তরুণ প্রজন্মের কাছে তা এক জীবন্ত কিংবদন্তি।