এল আর বাদল : ফের আতঙ্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে। করোনা আতঙ্ক। মহামারীকাল কেটে গেলেও, ঘুরে ফিরে আসছে আতঙ্ক। ফের একবার এশিয়ায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। সিঙ্গাপুর, হংকং, চিন এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে নতুন সংক্রমণের ঢেউ যেভাবে আছড়ে পড়েছে, তাতে আতঙ্ক বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। -- নিউজ১৮/ জি বাংলা
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই নতুন ঢেউ নতুন ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্টের কারণেই। আক্রান্তরা LF.7 এবং NB.1.8-এ আক্রান্ত যেগুলি মূলত জেএন.১-এর সাবভ্যারিয়েন্ট। চিন্তা বাড়ছে সিঙ্গাপুর, হংকং-এর পরিস্থিতি দেখে মূলত।
কেবল সিঙ্গাপুরেই, ২০২৫ সালের মে মাসের প্রথম দিকে সংক্রমণের সংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বেড়ে ১৪,০০০-এরও বেশি হয়েছে, যা এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেও ছিল ১১,১০০। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে। যদিও কর্মকর্তারা এমন কোনও প্রমাণের কথা জানাননি যে বর্তমান ভ্যারিয়েন্ট বা সাবভ্যারিয়েন্ট আগের থেকে বেশি গুরুতর কি না।
জেএন. ১(JN.1) ভ্যারিয়েন্ট কী?
JN.1 হল ওমিক্রন BA.2.86-এর সাবভ্যারিয়েন্ট। যা ২০২৩ সালের আগস্টে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই রূপটিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতে প্রায় ৩০টি মিউটেশন রয়েছে, যা সেই সময়ে প্রচলিত অন্য যেকোনো রূপের চেয়ে বেশি। একই সঙ্গে উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের গ্রীষ্মের শেষের দিকে এবং শরতের শুরুতে উপস্থিত SARS-CoV-2 রূপগুলির মধ্যে BA.2.86 কোনওদিনই খুব কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেনি।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে জেএন ওয়ান কোভিড প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানব শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ততটা শক্তিশালী নয়। পরীক্ষাগারে তৈরি হওয়া ও প্রাকৃতিক, উভয় ভাইরাসের প্রজাতির ভাইরাসের প্রেক্ষিতে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আগে করোনা আক্রান্ত বা কোভিড টিকাপ্রাপ্তের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির ক্ষমতা ততটা উপযুক্ত নয়, যতটা আগের প্রজাতিগুলির ক্ষেত্রে ছিল। ফলে বলা চলে, শরীরে তৈরি হওয়া বর্তমান অ্যান্টিবডিকে পাশ কাটাতে পারে। হু জানিয়েছে, কোভিডের ওমিক্রন প্রজাতির সাব ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি-১ প্রতিরোধে তৈরি হওয়া এক্সবিবি ১.৫ জেএন ওয়ান টিকা জেএন ওয়ানের ক্ষেত্রেও ভাল কাজ করছে।