এনসিপির লোক পরিচয়ে অচেনা লোকজন দরজা ভেঙে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চার নেতাকে আটক করে থানায় নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানা। সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে আটককৃতদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক ভিডিও থেকে জানা যায়, ‘বৈষম্যবিরোধী’ আন্দোলনের কিছু নেতা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে জানান, ফ্যাসিবাদের দোসর ‘হক্কানি পাবলিশার্সে’র মালিক ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে লুকিয়ে আছে। এই খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ‘হক্কানি পাবলিশার্স’র মালিককে গ্রেপ্তার না করায় আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ প্রশ্ন তোলেন—কোনো মামলা নেই তাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করবো? তখন ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)-কে তারা ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ বলে অভিযুক্ত করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে বলেন—আগে আটক করুন, পরে তারা মামলা করবেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ওই নেতাদের তর্ক-বিতর্ক চরমে পৌঁছালে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার এসআই এনায়েত হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মধ্যরাতে তাদের থানায় আনা হয়েছে এবং এখনও তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। মামলা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো কোনো মামলা হয়নি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই আনা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার রাত ১১টার পর সিভিল পোশাক পরিহিত একদল লোক ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কের ৩৬/১ এর তার বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী দোসরদের ঠাই নাই বলে নানা স্লোগান দেন। এরপর বাসার দাড়োয়ানকে ধাক্কা দিয়ে তার চতুর্থ তলার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। ৯৯৯ এ কল করে পরিস্থিতি জানিয়ে অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কেউ নই। আমার জানামতে আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই। তবে আমি একজন পাবলিশার্স হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বা মতাদর্শের বই প্রকাশ করেছি। এরমধ্যে আওয়ামী লীগেরও অনেক বই আমি প্রকাশ করেছি। শুধু আওয়ামী লীগ নয় বিএনপির জাতীয়পার্টি এবং জামায়াতের বইও আমি প্রকাশ করেছি। সূত্র: দেশটিভি এবং ডেইলি ক্যাম্পাস