তপু সরকার হারুন : শেরপুরে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানি ও অতি বর্ষণে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায়, শেরপুরের সিমান্তঘেষা শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী সহ তিনটি উপজেলা ভয়বহ বন্যার সম্ভাবনায় আতঙ্কে কৃষক ও সাধারন মানুষ ।
সীমান্ত ঘেঁষা তিনটি উপজেলা দিয়ে সোমেশ্বরী নদী এটি ভারতের মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড়, মহারশি নদী- বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শেরপুর জেলার একটি নদী-চেল্লাখালী -নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম গারো পাহাড় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শেরপুর জেলায়। ভোগাই নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শেরপুর জেলার একটি নদী।
এদিকে ২০ মে মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে দুপুরে সোমেশ্বরী , মহারশি , চেল্লাখালী, ভোগাই ও মালিঝি সহ প্রায় নদী গুলিতে পানির প্রবল তোড়ে পানি আসছে । আবাদী ধান, বিভিন্ন সবজি ক্ষেত গুলিতে পানি উঠে ডুবু ডুবু হতে চলছে।
শেরপুরে আগাম প্রস্তুতি জেলা প্রশাসন সর্তক্ অবস্থান গ্রহন করেছেন। জেলায় অতি বর্ষণের সম্ভাবনা এবং ভারতের মেঘালয়ে লাগাতার বর্ষণের কারণে ওই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪/৫ দিন ধরে জেলার নদ-নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও সবগুলো নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপদসীমার অতিক্রম হয়নি এখনো । তবে বন্যার পূর্বাভাসের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন নদী এলাকার মানুষজন।
রাতে কয়েক দফা মাঝারি বর্ষণের কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পাঠানো সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, আগামী ২০ মে পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে জনজীবনের পাশাপাশি কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বন্যা মোকাবিলায় শেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের দ্রুত আধা-পাকা ধান কেটে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণের
আহ্বাবান জানান।