কাশ্মীরের পেহেলগামের ঘটনায় ভারতে ছড়িয়ে পড়া 'মুসলিম-বিদ্বেষী মনোভাবের' সমালোচনা করে ব্যাপক অপমানের স্বীকার হচ্ছেন সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো নৌ-কর্মকর্তার স্ত্রী হিমাংশী নারওয়াল।
সেদিনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ছিলেন হরিয়ানার বাসিন্দা ভারতীয় নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়াল। তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেদিন ঘটনাস্থলে নিহত স্বামীর পাশে বিষণ্ণ মনে বসে থাকা হিমাংশীর একটি ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়।
স্বামীকে হারানোর পর গত বৃহস্পতিবার প্রথমবার এ নিয়ে মন্তব্য করেন হিমাংশী। তিনি বলেন, মুসলিম বা কাশ্মীরিদের প্রতি কোনো ঘৃণা করা উচিত নয়। 'আমি শুধু চাই পুরো জাতি তার (বিনয় নারওয়াল) জন্য প্রার্থনা করুক, সে যেখানেই থাকুক না কেন, যেন শান্তিতে থাকে।'
হিমাংশী আরও বলেন, 'আরও একটি কথা আমি বলতে চাই। কারো প্রতি ঘৃণা থাকা উচিত নয়। আমি এটা ঘটতে দেখছি যে, লোকেরা মুসলিম বা কাশ্মীরিদের প্রতি ঘৃণা ছড়াচ্ছে। আমরা এটা চাই না। আমরা শান্তি চাই এবং কেবল শান্তিই চাই।' মূলত এ মন্তব্যের পর থেকেই ক্ষমতাসীন বিজেবিসহ উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর লোকেদের নিশানা হন তিনি।
ভারতের সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায়, একজন তরুণ নৌ-সেনাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, আজ তার তরুণী স্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে, চরিত্রহনন করা হচ্ছে, গালিগালাজ করা হচ্ছে, ট্রোল করা হচ্ছে এবং ঘৃণা করা হচ্ছে। কারণ, তিনি ঘৃণার চেয়ে ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, তিনিই এই ক্ষতির মুখোমুখি, তিনিই সেই ব্যক্তি - যাকে কেবল তার নিহত স্বামীর স্মৃতি নিয়ে জীবনযাপন করতে হবে এবং এই অসুস্থ 'ট্রোলার'রা যা দিতে পারে, তা হল আরও ঘৃণা। তারা কীভাবে সন্ত্রাসীদের থেকে আলাদা?
এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের একজন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আছেন যিনি মনে করেন যে, তিনি এটিকে (অনলাইনে ঘৃণা ছরানো) অন্ধকারে করে রাখতে পারেন। কারণ যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে তারা তার দলের সমর্থক। লজ্জাজনক এবং অমানবিক।