শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৫, ০৭:১৯ বিকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৫, ০৯:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার বিরাজ করছে। এরপর থেকে একের পর এক সামরিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংহের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেছেন মোদি। খবর এনডিটিভির

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই পর্যটক। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। হামলার ঘটনার পর এটি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয় সামরিক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষা স্টাফের প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।

এর আগে গতকাল নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠির সঙ্গে এবং তারও আগে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন মোদি। এসব বৈঠককে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা কৌশল নির্ধারণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সরকারিভাবে মোদি-এপি সিংহ বৈঠক নিয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়া না হলেও, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পেহেলগাম হামলার পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর করণীয় ঠিক করতেই এই আলোচনা।

সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া হয়েছে—তারা নিজ বিবেচনায় সময়, লক্ষ্য ও পদ্ধতি নির্ধারণ করে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে।

প্রসঙ্গত, দুই দেশের সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো ভারতের নতুন কোনো কৌশল নয়। ২০১৬ সালে উরিতে সেনাঘাঁটিতে হামলার পর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ও ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জবাবে বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত।

বালাকোট অভিযানে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে একটি সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবিরে আঘাত হানে ভারতীয় বিমানবাহিনী। যদিও সে সময় এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয় এবং পাইলট অভিনন্দন পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হন। পরে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তাকে ফেরত পাঠায় ইসলামাবাদ।

তবে এখনো পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক কোনো সামরিক পদক্ষেপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে এবং উভয় দেশের মধ্যে পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়