শিরোনাম
◈ বাংলা‌দেশ দল এখন আ‌মিরা‌তে, ‌টি - টো‌য়ে‌ন্টি সি‌রি‌জের প্রথম ম‌্যাচ ১৭ মে ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়ন‌শি‌পের সেমিফাইনালে ১৬ মে নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ ◈ জাতীয় দ‌লে বিদেশি কোচ কে‌নো? ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার প্রতিক্রিয়া ◈ প্যারিসে অপহরণচেষ্টার মুখে সাহসিকতায় যেভাবে রক্ষা পেলেন ক্রিপ্টো সিইওর কন্যা! ভিডিও ◈ `আমার সোনার বাংলা' কীভাবে ও কেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো? ◈ বেতন বৈষম্য কমাতে নতুন মহার্ঘভাতা পরিকল্পনায় সরকার ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: স্বাধীনতার পর ৭৬ খুন, বিচার হয়নি ◈ বাংলাদেশ-জাপান বৈঠকে আসছে তিস্তা-মাতারবাড়ি-বে অব বেঙ্গল ও চীনের ভূমিকা ◈ কিনতে এসে অভিনব কায়দায় দোকান থেকে ‘১০০ ভরি স্বর্ণ’ নিয়ে পালালেন ৫ নারী (ভিডিও) ◈ জবি শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড় ছাড়বে না (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৯ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৫ দুপুর
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : আর রিয়াজ

বাংলাদেশে সরকার বদলালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে, মন্তব্য ভারতীয় সেনাপ্রধানের

বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী এবং উভয় দেশের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় করে থাকে।

এছাড়া পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের মন্তব্য, উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে এবং এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। শনিবার (৮ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার চীন ও পাকিস্তানের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন— (দেশ দুটির মধ্যে) “উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ” রয়েছে, যা মেনে নিতে হবে। নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এক ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে নৈকট্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এর অর্থ কী, আমার মতে, দুটি ফ্রন্টের হুমকি এখন বাস্তবতা।”

অধিবেশন চলাকালীন ভারতীয় এই সেনাপ্রধান ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, চলমান সংঘাত থেকে শিক্ষা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পর্কে বিস্তৃত প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, “এখন আপনি যে দ্বিতীয় জিনিসটি তুলে ধরেছেন তা হলো— সহযোগিতা বা আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক।”

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “যেহেতু আমি বলেছি— সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল একটি নির্দিষ্ট দেশে, তাদের আবার আমার যেকোনও প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তাই আমার চিন্তিত হওয়া উচিত, কারণ যতদূর আমি জানি, সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি সেই দেশ থেকেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আজ আমাদের প্রধান উদ্বেগ।”

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া “অনেক তাড়াতাড়ি” হতে পারে। যেখানে (বাংলাদেশে) সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে।

ভারতীয় এই সেনাপ্রধান বলেন, “কারণ আমার মতে, আমি খুব স্পষ্ট করেই বলব, (বাংলাদেশ ও ভারতের) বর্তমান সামরিক-সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। এবং আমরা নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় করি, যাতে যেকোনও ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সন্দেহ এড়ানো যায়।”

ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান-চীন সমীকরণকে কীভাবে দেখে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমাদের যা বুঝতে হবে তা হলো... আমাদের খুব স্পষ্ট হতে হবে যে— এখানে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে, যা আমাদের মেনে নিতে হবে। ভার্চুয়াল জগতের ক্ষেত্রে এটি প্রায় ১০০ শতাংশ; আর ভৌত ক্ষেত্রে, আমি বলব যে বেশিরভাগ সরঞ্জাম চীনা উৎপত্তি।”

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “সুতরাং, আজকের পরিস্থিতিতে এই যোগসাজশ উদ্বেগের। এর অর্থ, আমার মতে— দুই-ফ্রন্টের হুমকি ... আমার কাছে (এখন একটি) বাস্তবতা।”

তবে ভারতীয় এই সেনাপ্রধান “সহাবস্থান, সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের” আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধে জড়ানো (এই অঞ্চলের) দেশগুলোর জন্য ভালো নয়। তিনি বলেন, “যুদ্ধ কি উভয় দেশের স্বার্থে ভালো? উত্তর হলো— না। তাই, আমরা যা দেখছি তা হলো— কীভাবে আমরা আজকের পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারি এবং কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা না করা পর্যন্ত তা কীভাবে পরিচালনা করতে পারি।” সূত্র: ঢাকাপোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়