শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৭ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৬ দুপুর
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : আর রিয়াজ

বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করতে জয়শঙ্করকে কে দায়িত্ত্ব দিয়েছে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এর আগেও দেখা গেছে ভারতীয় মিডিয়াগুলো নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার খবর চাউর করে প্রকাশ করতে। কিন্তু একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতীয় নেতাদের আলোচনার দায়িত্ব কে দিয়েছে।ভারত তো মার্কিন শুল্ক আরোপের চাপ থেকে নিজেকেই রক্ষা করতে পারছে না। সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায়? ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। বৃহত্তর গণতন্ত্রের দাবিদার দেশ হিসেবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত। যেখানে জাতিসংঘ হাসিনার আমলে গণহত্যার স্বীকৃতি দিচ্ছে সেখানে ভারত হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে কি আলাপ আলোচনা করছে? ভারতীয় মিডিয়ার উঁজবুক খবর একধরনের হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। সেক্ষেত্রে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের হাস্যরস বলা যেতে পারে। জয়শঙ্করের সামনে ভারতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলছে শিখরা। তাকে নাজেহালের স্বীকার হতে হয়েছিল। তার সময় কোথায় বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করার। 

সর্বশেষ ভারতীয় মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়সহ বাংলাদেশ ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।

এছাড়া বৈঠকে বর্তমান বিশ্বের ভূরাজনৈতিক নানা ইস্যুও ভারতীয় ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় স্থান পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। দুই মন্ত্রী ইউক্রেন, বাংলাদেশ, পশ্চিম এশিয়া এবং কমনওয়েলথ নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেছেন।

অবশ্য বাংলাদেশ বিষয়ে তারা ঠিক কী আলোচনা করেছেন, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি জয়শঙ্কর। কারণ জয়শঙ্কর জানেন বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়বস্তু বলতে ভারতের বলার কিছু নেই। ভারতের এই পররাষ্ট্রনীতির দেউলিয়া ঢাকতে মিথ্যা প্রলাপ বকতে হচ্ছে। আর বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া ভারতীয় মিডিয়ার পরিপূরক হিসেবে এসব খবর প্রকাশ করে যাচ্ছে।  

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ওই পোস্টে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইউক্রেন ইস্যু, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ নানা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে ভারত-যুক্তরাজ্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে অবদান রাখছে।”

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। গত বছরের আগস্টে পদচ্যুত হয়ে ভারতে পালানোর পর হাসিনাকে ঘিরে কিছু জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল।

শোনা গিয়েছিল, হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাজ্য তাকে আশ্রয় দেয়নি। ইউরোপের এই দেশটি সেসময় বলেছিল, এই পরিস্থিতিতে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার কোনও আইনি ব্যবস্থা তাদের নেই।

এছাড়া শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ বের হয়ে আসছে এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের একজন ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নী।

হাসিনার গোপন কারাগারে আটক থাকত শিশুরাও, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ এসব খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়াগুলো বরাবরই নিরব থাকে কেনো? বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। মূলত টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং পদত্যাগের আগে তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

অবশ্য লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।

এসবের মধ্যেই দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিও টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। জয়শঙ্করের চাইলে এসব বিষয় নিয়ে ব্রিটেন ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। তারপর ভারতে মিডিয়াগুলো তা চাউর করে প্রকাশ করতেই পারে।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়