শিরোনাম
◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে লন্ডন গেলেন জামায়াত আমির ◈ সরকারি গাড়িতে যুগ্ম সচিবকে জিম্মি, ৬ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৭ রাত
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবকাশে গিয়ে প্রেম: দুবাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ব্রিটিশ তরুণীর মা, অতপর...

অবকাশে গিয়ে প্রেম সাধারণত রোমান্টিক সিনেমা বা গল্পের বিষয়বস্তু হলেও ১৮ বছরের মার্কাসের জন্য এটি এক বছরের কারাদণ্ডের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রোববার সিএনএন জানিয়েছে, লন্ডনের কনস্ট্রাকশন অ্যাপ্রেন্টিস মার্কাস ফাকানা গত সেপ্টেম্বরে পরিবারের সঙ্গে দুবাই ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি একটি হোটেলে এক ব্রিটিশ কিশোরীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাদের মধ্যে একটি রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কটি যৌ.ন.তায়ও গড়ায়।

দুবাইয়ের এই প্রেম লন্ডনে চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। তবে মেয়েটি যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার পর তার মা বিষয়টি জানতে পেরে দুবাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের সূত্র ধরে মার্কাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে মার্কাস বলেন, ‘আমাকে হোটেল থেকে কোনো কারণ না জানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কারও সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া হয়নি, এমনকি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও নয়। সবকিছু আরবিতে ছিল এবং আমি জানতাম না কখন মুক্তি পাব।’

জানা গেছে, দুবাইয়ে যৌন সম্পর্কের জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। ফলে মেয়েটি তখন আইনত নাবালিকা ছিল। মার্কাস বলেন, ‘আমি কোনো আইন ভাঙার উদ্দেশ্যে এটি করিনি। আমি জানতাম তার ১৮ বছর হতে আরও এক মাস বাকি আছে।’

মার্কাস তার এক বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী ও শাসকের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি দোষ স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি এবং অনুতপ্ত। আমি চাই আমার পরিবারকে নিয়ে ক্রিসমাস কাটাতে।’

আধুনিক ও উদার পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে দুবাই। কিন্তু এর কঠোর আইনি ব্যবস্থা অনেক সময় পর্যটকদের বিপদের কারণ হতে পারে। কারণ নাগরিক ও পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য দুবাইয়ের আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়।

মার্কাসের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আইনি জটিলতার কারণে অনেক পর্যটকই দুবাইয়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়েন। উদাহরণস্বরূপ—এক আইরিশ নারীকে আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া, এক আইরিশ ব্যক্তি একটি ‘হুমকিমূলক ইমোজি’ পাঠানোর জন্য তিন মাস ধরে আটক ছিলেন।

এদিকে চার মাস আগেই মার্কাসের পরিবার দুবাই থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে গিয়েছিল। তাই মার্কাস এখন দুবাইয়ে একা অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ‘চার মাস ধরে এখানে আছি। পরিবার ছাড়া সময় কাটানো মানসিকভাবে কষ্টকর।’

মার্কাস ও তার আইনজীবীরা এখন সাজা কমানোর চেষ্টা করছেন। তারা আশা করছেন, কারাদণ্ডের বদলে মার্কাসকে জরিমানা ও দেশ থেকে বহিষ্কারের শাস্তি দেওয়া হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়