ইসরায়েলের আছে বিশাল এক ক্ষেপণাস্ত্র বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সবশেষ মঙ্গলবার রাতে এটি কার্যকর করা হয়।
এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আছে নানা স্তর। এ ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন হুমকি মোকাবিলায় কাজ করে। ইসরায়েলের সবচেয়ে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা অংশের নাম আয়রন ডোম। স্বল্প পাল্লার রকেট রুখে দিতে এটি কাজ করে। গত কয়েক বছর ধরে হামাস ও হিজবুল্লাহর ছোড়া রকেট আটকে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা কাজ করছে।
বড় ধরনের হুমকির ক্ষেত্র ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যান্য অংশের আশ্রয় নেয়। ডেভিড’স স্লিং ব্যবহৃত হয় মাঝারি পাল্লার রকেট, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিতে।
আর দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে ইসরায়েল ব্যবহার করে অ্যারো ২ ও অ্যারো ৩ ইন্টারসেপ্টর। এদের অবস্থান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে। এ অংশ হয় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি ইরানের ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সবকটি অংশ বা এলিমেন্ট ব্যবহার করে।
আজ রাতের হামলায় ইসরায়েল ডেভিড’স স্লিং এবং অ্যারো ২ ও অ্যারো ৩ ইন্টারসেপ্টরের আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়। কিছু এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সব ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পারেনি।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারসহ সামরিক সহায়তার বিশাল এক নতুন প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর লেবাননে স্থল আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান। উৎস: বাংলানিউজ২৪
আপনার মতামত লিখুন :